avertisements
Text

অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান/ অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

বেগম খালেদা জিয়া : তৃতীয় বিশ্বে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

বেগম খালেদা জিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী। একজন আদর্শ গৃহবধূ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দু’পুত্র তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানকে লালন-পালন এবং স্বামী সংসার নিয়ে সর্বদাই ব্যস্ত থাকতেন। এমনকি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লে ঐ সময়েও তিনি তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অনেক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে তাঁদেরকে মাতৃ এবং পিতৃস্নেহে আগলিয়ে রেখেছেন। তাছাড়াও ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পারিবর্তনের পর যখন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের প্রয়োজনে নিবেদিত হয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখনও বেগম জিয়া কেবলমাত্র গৃহবধূই ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়া, ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মগত নাম খালেদা খানম পুতুল। তিনি ১৯৬০ সালে আগষ্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জিয়াউর রহমান তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। ১৯৬৫ সালে খালেদা জিয়া স্বামীর সাথে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমানে পাকিস্তান) যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর কর্মস্থলে তাঁর সাথে ছিলেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন এবং কিছুদিন জয়দেবপুর সেনানিবাসে থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর কর্মস্থল স্থানান্তরিত হলে তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বসবাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যাচারের কারণে বেগম জিয়া কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ১৬ মে নৌ পথে ঢাকায় চলে আসেন এবং বড় বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে ১৯৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জামশেদের অধীনে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলে খালেদা জিয়া মুক্ত হন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান শহীদ হন। আশির দশকের শুরতে জাতীয় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ষড়য়ন্ত্রের মধ্যে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের পর গৃহবধু থেকে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের অনুরোধে ৩ জানুয়ারী ১৯৮২ বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করলে খালেদা জিয়া এর তীব্র বিরোধিতা করেন। এরপর ১৯৮২ সালের পর থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হন। 

১৯৮৩ সালে মার্চ মাসে খালেদা জিয়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বেই পরবর্তীতে মূলত বিএনপি পূর্ণ বিকাশ লাভ করে।

১৯৮৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। এসময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। খালেদা জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচীর সূত্রপাত হয়। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অবিরাম গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে পরবর্তীতে ১৫ দল ভেঙ্গে ৮ দল এবং ৫ দল হয়। 

আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ৮ দল নির্বাচনে অংশ নিলেও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল এবং ৫ দলীয় ঐক্যজোট ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন, সংগ্রাম অব্যহত রাখে এবং এরশাদের অধীনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া “এরশাদ হটাও’’ শীর্ষক এক দফার আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হলে এরশাদ সংসদ ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হন। অবশেষে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৯ বছর অবিরাম, নিরলস এবং আপোসহীন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে সামরিক শাসক এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ জতীয়তাবাদী দল’ তাঁর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, সততা, দেশপ্রেম এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী তথা ১৯ দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে খুব সহজেই সর্ব সাধারণের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বেগম জিয়া তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনকে জনভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়া পূর্বাপর তৃতীয় বিশ্বে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মত শত ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই উতরাই পেরিয়ে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নিজেকে আপোসহীন নেত্রীতে পরিণত করেন। রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম এবং শত প্রতিকূলতার পরও জাতীয়তাবাদী চেতনার রাজনীতির ‘আইকন’ হয়ে ওঠেন এবং সেইসাথে বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ‘কান্ডারীতে’ পরিণত হন।

বেগম জিয়া ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হন। সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার কর্তৃক বন্দী হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাতদিন কারাগারে অবস্থানকালে তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন অভিযোগেরই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। এতদসত্বেও বতর্মান আওয়ামী লীগ সরকার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলার দায়ে তাঁর ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। এরপরই তাঁকে বন্দী করে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অদ্যবধি খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় এখনও পযর্ন্ত কারাজীবন ভোগ করছেন।

১৩ নভেম্বর ২০১০ সালে খালেদা জিয়া তাঁর দীর্ঘদিনের স্মৃতিবিজরিত বাড়ী থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে জিয়াউর রহমানের সাথে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালে ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সেনা অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণ করলে তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সেনানিবাসের ওই বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।এত নিষ্ঠুর নির্যাতন, জুলুম, মামলা দিয়েও খালেদা জিয়াকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথথেকে বিচ্যুত করা যায়নি। এ দেশের জনগণের স্বার্থকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিয়ে খালেদা জিয়া তাঁর নিজ জীবনের সকল সুখ-স্বাচ্ছন্দকে বিসর্জন দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু এবং বড় ছেলে তারেক রহমান অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন পরবাসে থাকার পরও দেশ, জনগণ এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রশ্নে তাঁর সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হয়নি।

রাজনীতিতে খালেদা জিয়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এমন একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে যা অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রজ্ঞায় প্রবিষ্ট হতে পারেনি। “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অত্যন্ত দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক ব্যক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও গণসমর্থন ও গণভিত্তি রচনার ব্যাপারে ছিলেন চারণের মতো সারাদেশে ভ্রমণশীল রাজনৈতিক চারণ। এ গুণ খালেদা জিয়া তাঁর প্রাত্যহিক জীবন থেকে পুরোপুরি আয়ত্ত করেছিলেন। এ গুনই তাঁকে প্রবল বৈরীতার মধ্যে জনগণের ক্ষোভের শিখা থেকে বেরিয়ে আসা এক রূপকথার রাজ্যপাটহীণ রাজকন্যায় পরিণত করে”(আল মাহমুদ)। যার ফলশ্রুতিতে জনগণ যে তাঁকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে বারবার বিজয়ী করে এর কারণ শুধুই তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নয়, তাঁর  মধ্যে দেশবাসী মায়া মমতাময় এক মাতৃরূপ অবলোকন করে ভরসা পেয়েছে। দেশনেত্রী বেগম জিয়া রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই দেশের মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসেছিলেন দেশবাসীকে স্বৈরাচার এরশাদের নাগপাশ থেকে মুক্ত করার এবং শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ধংসের হাত থেকে বাঁচানোর গুরু দায়িত্ব নিয়ে। ১৯৬০ সালে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সাথে ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের তৃতীয় সন্তান খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়, তখন তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নি যে, একদিন তাকে রাজনীতিতে নামতে হবে। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ এবং ইতিহাস সাক্ষী যে, এই বিয়ে খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনীতিতেই আনেনি, তিন তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার গৌরবও এনে দিয়েছে। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে শহীদ জিয়ার স্ত্রী হওয়াটা যোগসূত্র হিসেবে কাজ করলেও তিনি যা অর্জন করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। 

বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে নামার পর তাঁকে যেমন বিএনপিকে সংগঠিত করতে হয়েছে, তেমনি স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে থেকে আন্দোলন, সংগ্রাম করতে হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছরের এই রাজপথের সংগ্রাম কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। একদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাস ঘাতকতা অপরদিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক বারংবার বিএনপি ও ছাত্রদলকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে বেগম জিয়া যেমন তাঁর দল এবং ছাত্র সংগঠনকে সংগঠিত রাখতে সচেষ্ট ছিলেন, তেমনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকেও সংগঠিত ও জোরালো করতে তৎপর থাকতে হয়েছে প্রতিনিয়ত তাঁকে। এরশাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার সংগ্রাম ছিল আপোসহীন। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন হল এদেশের মাটি, মানুষ, গণতন্ত্র, উন্নয়ন- উৎপাদনের রাজনীতি এবং সর্বোপরি দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। রাজনৈতিক আদর্শ হল শহীদ জিয়ার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম, শিষ্টাচার, শালীনতা এবং জনকল্যাণমুলক রাজনীতি। বেগম জিয়া মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন গণতন্ত্র ছাড়া কোন দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার ফলে “২০১১ সালে ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি স্টেট সিনেট বেগম খালেদা জিয়াকে ‘গণতন্ত্রের যোদ্ধা’ উপাধিতে সম্মানিত করেন” (মন্ডল, ৯৯)।

তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে “বিংশ শতকের মাঝামাঝি এমনকি শেষভাগেও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে লক্ষ্য করা যায়, পুত্র কন্যা অথবা পত্নীকে। তাদের ঘিরেই ক্ষমতা আবর্তিত হয়েছে কখনো স্ত্রী কখনো কন্যা, কখনো বা পুত্রের হাতে। এ উপমহাদেশে সম্ভবত শ্রীলঙ্কায় এ ঘটনার প্রথম উদাহরণ। ষাটের দশকের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী সলোমান বন্দরনায়েকে আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে স্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক তদস্থলে তদানীন্তন ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী নির্বাচিত হন। এরপর তিনি দু’টি মেয়াদে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের অধিবাসীদের স্থান রাজনৈতিক সচেতনতায় এমনকি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্ভবত আমাদের পরেই। অথচ সেখানে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারিত্ব একটি পরিবারিক শাসনে রূপ নিয়েছে। স্বাধীনতার পরপর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, তাঁর মৃত্যুর পর তদীয় কন্যা ইন্দিরা গান্ধীর পর ইন্দিরা তনয় রাজীব গান্ধী ক্ষমতাসীন সংগ্রেসের নেতা তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পণ্ডিত নেহরু জীবিত থাকতেই কন্যা ইন্দিরাকে রাজনীতির পথে টেনে আনেন। তারও আগে তিনি স্বীয় কন্যাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে রাজনীতির জটিল পথ সম্পর্কে এমনকি কারাগারে বসেও টিঠির মাধ্যমে ইন্দিরাকে শিক্ষাদান করেছেন। 

নেহরুর পাণ্ডিত্য বিশ্ব জোড়া। সুতরাং, তাঁর কন্যার পক্ষে রাজনীতি আত্মস্থ করতে পারাটাই স্বাভাবিক। ইন্দিরা গান্ধীও একইভাবে চেষ্টা করেছেন প্রথমে কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয়কে গড়ে তুলতে। কিন্তু ১৯৮০ সালে এক বিমান দর্ঘটনায় সঞ্জয়ের মৃত্যু হলে তিনি পরবর্তীতে রাজনীতিতে নির্লিপ্ত এবং প্রায় অনভিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজীবকে উত্তরাধীকারী করার আকঙ্খায় তাঁকে নানাভাবে সুযোগ দিতে শুরু করলেন” (মন্ডল, ৩৬)। কিন্তু রাজনীতিতে পা বাড়ানোর শুরুতেই যারা ঝুঁকিপূর্ণ সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উজ্জ্বল ঊষার আলোকবর্তিকা হয়ে বিরাজ করছেন খালেদা জিয়া তাঁদের মধ্যে অন্যতম। খালেদা জিয়া সময়ের আবর্তনে একটি নাম - তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংগ্রামেরউজ্জ্বল মুখ। মিছিলের পুরোভাগে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক উন্নত শির, বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর এবং আপোসহীন নেত্রী।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের ভেতর দিয়ে। পরিপূর্ণ সংগ্রাম শুরু করেছেন ১৯৮২ থেকে। ১৯৯০ সালের অভ্যুত্থানের বিজয়ের মাধ্যমে একটি পর্যায়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু এই নয় বছরের স্বল্প বিস্তৃত রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়ার বিকাশ ঘটেছে বড় ক্যানভাসে। সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন দিয়ে শুরুটা হয়েছিল বলেই তিনি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এতটা সম্পৃক্ত হতে পেরেছিলেন। জনগণের আকাক্সক্ষার সঙ্গে তাঁর দল ও ব্যক্তি খালেদার একাত্মতা সারা বাংলাদেশের মানুষকে তাঁর প্রতি নির্ভরশীল করে তুলেছে। ধীরে ধীরে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অনিবার্য ব্যক্তিসত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন তিনি। এটিই হচ্ছে তাঁর কৃতিত্ব, তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। জিয়াউর রহমানের বিএনপির চেয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীণ বিএনপির পার্থক্য এখানেই। কারণ খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে শেকড় পর্যন্ত বিস্তৃত জনগণের কাছে আশ্রয়স্থল হিসেবে পৌঁছিতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক ১৯ দফা কর্মসূচি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ তাঁর রাজনীতির শক্তির উৎস হলেও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা নতুন আঙ্গিকে তাঁর দলকে পরিচালিত করেছে এবং তাঁর জনপ্রিয়তাকে বৃদ্ধি করেছে। খালেদা জিয়ার বড় কৃতিত্ব হচ্ছে জনগণের আন্দোলনের চাহিদাকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রকৃত অর্থেই। ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদের নির্বাচন বর্জনের তাঁর সিদ্ধান্ত, এরশাদের পদত্যাগের দাবির ইস্যুর সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপোস না করা বিষয়গুলো দ্রুতই তাঁকে সংগ্রামী ও আস্থাশীল নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহলের দৃষ্টিতে বেগম জিয়া ঐক্যের প্রতীক। অন্যায়, অনিয়ম, অবিচারের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কষ্ঠস্বর। স্বৈরাচার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে আপোসহীন নেতৃত্বের প্রতীক। খালেদা জিয়া মানেই অন্যায়-অবিচার ও অগণতান্ত্রিক অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার না করা। দেশের জনগণ খালেদা জিয়াকে তাদের হৃদয়ে স্থান দিয়েছে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে। তাঁর এই অর্জন হঠাৎ করেই কিংবা এমনি এমনি হয় নি। এজন্য তাঁকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটানা ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তিনি আজও জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পযর্ন্ত বেগম জিয়া ত্যাগের মহিমায় তাঁর জীবন মহিমান্বীত। তিনি বাংলাদেশ তথা তৃতীয় বিশ্বে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আন্দোলনে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর ভাষায় “বাংলাদেশ ভাল থাকলে, আমি ভাল থাকি”। “এ দেশের বাহিরে আমার কোন ঠিকানা নেই, এ দেশই আমার ঠিকানা”। বাংলাদেশ আজ এক চরম ক্লান্তিকাল অতিবাহিত করছে। এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ খালেদা জিয়ার মত নেত্রীকে খুঁজে ফিরে। তাঁর তনয় তারেক রহমান পারিবারিক ঐতিহ্যের পথ অনুসরণ করে সূদুর প্রবাস থেকে তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে জনগণকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে  জনগণের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দেশের মানুষ এখন বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের দৃঢ় বিশ্বাস দেশ ও দেশের মানুষের পাশাপাশি গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য বেগম জিয়ার মত আপোসহীণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষ  বিশ্বাস করে খুব শীঘ্রই গণতন্ত্রের মানসকন্যা খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং আবারও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। এটাই সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা।

সহায়ক গ্রন্থ : 
ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ ২০০১, ‘বেগম খালেদা জিয়া: আপোসহীন নেত্রীর প্রতিকৃতি’, অনন্যা  প্রকাশন, বাংলাবাজার ঢাকা।
ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ ২০০২, ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি’, সেতু প্রকাশন, বাংলাবাজার ঢাকা।
জুবাইদা গুলশান আরা, ২০০২, ‘খালেদা জিয়া: সময়ের প্রয়োজনে’, সেতু প্রকাশন, বাংলাবাজার ঢাকা।
ড. কে এ এম শাহদত হোসেন মন্ডল, ২০১৩, ‘বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবসে প্রত্যাশা’, দৈনিক দিনকাল।
ড. কে এ এম শাহদত হোসেন মন্ডল, ২০১৩,‘জননন্দিত দেশনেত্রী’,শিকড় বাংলাবাজার ঢাকা।
ড. কাজী আব্দুস সামাদ, ২০১৩, ‘দেশনেত্রী বেগমখালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন’, দৈনিক দিনকাল।
সামিউল আহমদ খান, ২০১৩, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়া’, শিকড় বাংলাবাজার ঢাকা।
ড. আব্দুল হাই তালুকদার, ২০১৪, ‘সরকারে খালেদা জিয়া আতঙ্ক’, দৈনিক দিনকাল।

লেখক : ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রফেসর, লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এবং সহ-সভাপতি, ইউট্যাব। ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিক্ষক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও মহাসচিব (ইউট্যাব)। 
 

avertisements
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
মহাসড়ক অবরোধ করে ফের রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মহাসড়ক অবরোধ করে ফের রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ থাকছে যেসব সামাজিক মাধ্যম
মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ থাকছে যেসব সামাজিক মাধ্যম
আইসিসির সভা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে
আইসিসির সভা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপুল পুলিশ মোতায়েন
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপুল পুলিশ মোতায়েন
বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঋত্বিক-সাবার বিচ্ছেদ গুঞ্জন
ঋত্বিক-সাবার বিচ্ছেদ গুঞ্জন
পল্টন মোড় থেকে ৪ আন্দোলনকারী আটক
পল্টন মোড় থেকে ৪ আন্দোলনকারী আটক
ইরানের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেলেন পেজেশকিয়ান
ইরানের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেলেন পেজেশকিয়ান
আওয়ামী লীগের যৌথসভা মঙ্গলবার
আওয়ামী লীগের যৌথসভা মঙ্গলবার
ইসরায়েলে ঢুকতে পারে তুরস্ক : এরদোয়ান
ইসরায়েলে ঢুকতে পারে তুরস্ক : এরদোয়ান
আগরতলায় ২৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
আগরতলায় ২৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
বিক্ষোভে ছাত্রদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট
বিক্ষোভে ছাত্রদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট
আজ দেশে আনা হচ্ছে শাফিনের মরদেহ, কাল দাফন
আজ দেশে আনা হচ্ছে শাফিনের মরদেহ, কাল দাফন
পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক আজ
পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক আজ
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
আজ চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন
আজ চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন
বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, হার্ট ও লিভারের পরিক্ষা চলছে
বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, হার্ট ও লিভারের পরিক্ষা চলছে
লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা : মির্জা আব্বাস
লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা : মির্জা আব্বাস
দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে : জি এম কাদের
দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে : জি এম কাদের
ভৈরবে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে জন্ম সনদ সংশোধনে ঘুষ দাবীর অভিযোগ
ভৈরবে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে জন্ম সনদ সংশোধনে ঘুষ দাবীর অভিযোগ
মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকালে অবশ্যই অফিসে থাকতে হবে
মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকালে অবশ্যই অফিসে থাকতে হবে
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলায় বিএনপির পদযাত্রা
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলায় বিএনপির পদযাত্রা
জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা : ইতিহাসের পুনর্পাঠ
জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা : ইতিহাসের পুনর্পাঠ
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান : জাতীয় গৌরবের সূর্যসারণি
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান : জাতীয় গৌরবের সূর্যসারণি
হিংসাত্মক রাজনীতির দম্ভ : ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুলনার নান্দনিক স্থাপনা 'জিয়া হল'
হিংসাত্মক রাজনীতির দম্ভ : ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুলনার নান্দনিক স্থাপনা 'জিয়া হল'
নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে হাজার কোটি টাকা
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে হাজার কোটি টাকা
গুম নিয়ে মিশেল ব্যাচেলেটের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করলো ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
গুম নিয়ে মিশেল ব্যাচেলেটের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করলো ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
avertisements
avertisements