ভৈরবে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে জন্ম সনদ সংশোধনে ঘুষ দাবীর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ভৈরব পৌর সভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমের বিরুদ্ধে জন্ম তাং সংশোধনে প্রবাসীর কাছে অতিরিক্ত অর্থ দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী ভৈরব পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের মৃত মজিদ ডিলারের ছেলে আলামিন জানায় সে দুই যুগ যাবৎ মধ্যে প্রাচ্যের সৌদিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাসপোর্টে তার জন্ম তাং ১০ ই জুলাই ১৯৭৮ কিন্ত কতৃপক্ষের ভুলের কারনে জন্ম নিবন্ধনে তার জন্ম তাং লিখা হয় ১ লা জানুয়ারি ১৯৮৪। অভিযোগকারী আলামিন জানান পাসপোর্টে লিখা তার জন্ম তাং (১০ জুলাই ১৯৭৮) ঠিক আছে এই মর্মে তাং সংশোধন করতে গেলে পৌর সভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমের কাছে গেলে তিনি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে নানা টালবাহানা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে নাসিমা আলামিন কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এনামূলের নিকট, পাঠিয়ে দেন।
এনামুল আলামিন কে ভৈরব পৌর মাতৃ সদনের কম্পিউটার অপারেটর সানির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আলামিন সানির সাথে যোগাযোগ করলে সানি তাকে স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আলামিন পূনরায় নাসিমার সাথে যোগাযোগ করলে নাসিমা জন্ম তাং সংশোধন করতে ২৫০০ টাকা দাবী করেন।
আলামিন জানান গেজেট অনুযায়ি জন্ম তাং সংশোধন করতে ১০০/ টাকা লাগে, আপনাকে আমি ১০০ টাকার বেশী দিব না, এবং অতিরিক্ত টাকা নিতে গেলে রশিদ দিতে হবে এতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার জন্ম তাং সংশোধন করা যাবে না বলে তাকে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সূত্রে প্রকাশ ১৯৯৫ সালে ভৈরব পৌর সভায় যোগদানের মাধ্যমে তার চাকরি জীবন শুরু হলেও তার চাকরি জীবনের ২৭ বৎসর কেটে গেছে ভৈরব পৌর সভায়। জন্ম সনদ সংশোধন করতে আসা বেশ কয়েক জন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগম ও কম্পিউটার অপারেটর সানি সিন্ডিকেটের কাছে জন্ম সনদ সংশোধন করতে আসা মানুষ জিম্মি।
সনদ সংশোধন করতে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। সকালে গেলে বলে বিকালে আবার বিকালে গেলে বলে রাতে আসেন। আবার টেবিলের নীচ দিয়ে নোট ধরিয়ে দিলে অল্প সময়ে মিলে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।
সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জন্ম সনদ সংশোধনের ভোগান্তি থেকে জনগন থেকে রক্ষা করতে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।