অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনজুর মোরশেদ
বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের বক্তব্য
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল, বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস) গত ২৮ মার্চ থেকে বুয়েটে সংগঠিত ঘটনাবলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ।
এখানে বেশ কিছু ঘটনাবলি রয়েছে- যার মধ্যে গভীর রাতে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েট ছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্য মহোদয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনান পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা উল্লেখযোগ্য।
প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রার মহোদয়ের।
সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ই-মেইল প্রেরণ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে নির্দেশ হত ১ এপ্রিল হাইকোর্ট দিয়েছে, তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তৃতীয়ত, ২০১৯-পরবর্তী বিগত বছরগুলিতে বুয়েটে শিক্ষা-কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমতাবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি।
একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুস ক্যাম্পাস আমাদের সকলের কাম্য। সকল অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
লেখক পরিচিতি: বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি) ও অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনজুর মোরশেদ (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক)।