ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম
গণমানুষের রাজনীতির নতুন কক্ষপথ ও একজন জননেতা
প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের রাজনীতির কক্ষপথ যদি কোনো কেন্দ্রকে ঘিরে আবর্তিত হয় তবে সেই ঘূর্ণনকেন্দ্র নিঃসন্দেহে তারেক রহমান। এক যুগের বেশি সময় ভাত কাপড়হীন, ভোটবিহীন দেশে ভয়াবহ মানবাধিকার বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা মানুষ হঠাৎ করে যাঁর ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত করে তুলেছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, বেনাপোল থেকে তামাবিল কিংবা রূপসা থেকে পাথুরিয়া তিনি আর কেউ নন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সূর্যসন্তান তারেক রহমান। বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা সংগ্রামের একেবারে সূচনা পর্বের ‘উই রিভোল্ট’ থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রণাঙ্গণে যাঁর নির্দেশনা থেকে বাংলার ইতিহাসের সূত্রপাত তাঁকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সাত নভেম্বর বিপ্লবের সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে গণমানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাদের ভোটাধিকার। তারপর লেজেহুমু এরশাদ স্বৈরাচারকে বিদায় করে দিয়েছিলেন যেই আপোসহীন দেশনেত্রী, তাঁকে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষ গণতন্ত্রের মা ডাকে। তিনি ভোটবিহীন মধ্যরাতের সরকারের অন্যায়ের শিকার হয়ে কারাবরণ করার পর বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ প্রমাদ গুণেছে মুক্তির প্রতীক্ষায়। ঠিক তখনি নতুন এবং উজ্জীবিত ভূমিকায় আবির্ভাব ঘটেছে তারেক রহমানের। যাঁর বাবা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, যাঁর মা স্বৈরাচারী লেজেহুমু এরশাদকে বিদায় করেছেন রাজপথের আন্দোলনে, এবার বাংলাদেশের মানুষ তাদের হারানো ভোটাধিকার ফেরত পেতে তাঁদেরই সন্তান তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখতে চায়।
একুশ শতকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক প্রতিভাবান, সৃজনশীল, উদীয়মান উজ্জ্বল নক্ষত্র তারেক রহমান। অনেকে বলে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ জিয়ার জানাজায় দু হাত তুলে ফরিয়াদ করেছিলেন, ‘হে মহান আল্লাহ্ তুমি একজন জিয়া নিয়ে গেলে, আমাদের আরেক জিয়া দিও। হয়তো তাই বর্তমান বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি দিতে মতান্তরে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতেই ঘটেছিল তারেক জিয়ার জন্ম’। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করতে গিয়ে হয়তো তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে। এর বাইরে খুব কাছে থেকে বাংলাদেশের মানুষের প্রিয়তম নেতা শহীদ জিয়ার রাষ্ট্র পরিচালনা করা দেখেছেন শৈশবে। রাজপথের আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালনাও তাঁর অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং একেবারেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকান্ড থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। তারেক রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের প্রয়োজনে এক ক্রান্তিকালে রাজনীতির হাল ধরেছেন। তাই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নানা সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তারেক রহমান হয়ে ওঠেন বিএনপির ভবিষ্যৎ ঠিকানা। প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। আগামীতে তারেক রহমান বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন ইনশা-আল্লাহ্। রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এ প্রজন্মের মননশীল, অসামান্য প্রজ্ঞা, কর্মবীরত্ব আর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতার নাম তারেক রহমান। তিনি যেমন দেশের কৃষি উন্নয়ন ঘটানোর ক্ষেত্রে নয়া কৃষির সম্ভাবনা বোঝার চেষ্টা করেন, তেমনি আমেরিকায় মাইক্রোসফ্টের অফিসে গিয়ে জানার চেষ্টা করেন বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফ্টের কাজকর্ম কীভাবে পরিচালিত হয়। প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের যাত্রা শুরু তাঁর হাত ধরেই। তিনি কথা বলেন কীভাবে ভবিষ্যতের মানুষকে ক্লাস্টার করে শিক্ষা, বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে দেয়া যাবে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে কীভাবে মাইক্রোসফ্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায় সেটাও তিনি ভাবেন।
জানা গেছে, তিনি মালয়েশিয়াতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেন মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে কী করে একটি উন্নয়নশীল দেশ থেকে একটি প্রায় উন্নত দেশে পরিণত হলো দেশটি। সর্বোপরি, বাংলাদেশের মঙ্গল ও কল্যাণ, কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কোন কোন পন্থায় দেশের নাগরিকদের উপকার হবে এই সব ভাবনায় সর্বদা চিন্তাযুক্ত থাকেন দেশনায়ক তারেক রহমান। আমেরিকান লেখক ‘‘Jams Freemen Clarke যথার্থই বলেছেন A politician things about the next elections-the statesman things about the next generation”-অর্থাৎ একজন রাজনীতিক পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন, আর একজন রাষ্ট্রনায়ক ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তা করেন। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের পথ খুঁজে পেতে তাঁর এই অন্বেষণ, সদিচ্ছা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদীন ধরে জেঁকে বসা এলিট শ্রেণির আধিপত্য ভেঙ্গে তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায় থেকে ত্যাগী ও তরুণ নেতৃত্বের সূচনা করেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রাজনীতির যোগ্য উত্তরসূরী জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রাণপুরুষ তারেক রহমান তৃণমূল রাজনীতিকে গণমুখী করে তোলার কান্ডারী। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ভূ-রাজনীতিতে এই নতুন দর্শনতত্ত্ববাদ দিয়ে রাজনীতিকে শাণিত ও সমৃদ্ধ করে তুলেছেন, যা সারা দুনিয়াতে বিশ্বনন্দিত হয়েছে।
তারেক রহমান বিএনপির শাসনামলে কারো মানবাধিকার খর্ব করেননি, তাঁর বিরুদ্ধে লেখার জন্য কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করাননি, সংবাদপত্রের অফিসে তালা মারেননি। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে তিনি কোনো কাজ করেননি। গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রবান্ধব জিয়া পরিবারের ঐতিহ্য তিনি যথাযথ সমুন্নত রেখেছেন |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠিত হওয়ার পর থেকে এ রকম সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায়নি। এতে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। দরিদ্রের কন্ঠস্বর তারেক রহমানের স্বপ্ন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের কৃষকদের সাথে মাটি ও পানির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে শুরু করেন কৃষি বিপ্লব। একজন রাজনৈতিক নেতা হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য বিএনপি সরকারের সময় তারেক রহমানের সক্রিয় উদ্যোগে বিনা মূল্যে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও সেলাই মেশিন বিতরণ, বহু চিকিৎসা ও সেবাদান কেন্দ্র, শস্যবীজ সরবরাহ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। দেশনায়ক তারেক রহমান একজন উদার রাজনীতিবিদ। নতুন নেতৃত্বের প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাতে কিংবা অন্য নেতৃত্বকে অসম্মান করার চেষ্টা তাঁর ভাষায় ছিল না। যখন সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে প্রথম প্রবেশ করেন তখন তারেক রহমান তাকে ফুল ও মিষ্টি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে চ্যানেল আইকে দেয়া তারেক রহমান তাঁর জীবনের প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সঠিক মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে এবং অতীতের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে পারব। তারেক রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর যথাযথ মূল্যায়নের কথাই বলেননি, তিনি ২০০৪ সালে গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন।
আমাদের দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি ছিল বিরল একটি ঘটনা। ব্যক্তিগতভাবে তারেক রহমান খুবই নম্র, ভদ্র ও নিরহঙ্কার। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুর রহমানের একটি লেখায় বর্ণনা করেছেন, শীতের রাতে হাওয়া ভবন থেকে বের হওয়ার সময় দেখলাম ফটকের সামনে তারেক রহমান দাঁড়িয়ে দু-চারজনের সঙ্গে গল্প করছেন। শহীদুল নামে একটি ছেলে সে সময় হাওয়া ভবনে কাজ করত, ফটকটি খুলে দেয়ার জন্য সেও দাঁড়িয়ে। তারেক রহমানকে গল্প করতে দেখে আমিও সেই গল্পে যোগ দিলাম। তারেক রহমান হঠাৎ খেয়াল করলেন শহীদুলের শরীরে শুধু একটি শার্ট। রাত বেশি (১১:০০-১২:০০টা) হওয়ায় শীতে কাঁপছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তারেক রহমান তাকে বললেন, কেন শীতের কাপড় পরে আসনি। তিনি নিজের শরীর থেকে জ্যাকেটটি খুলে শহীদুলকে দিয়ে বললেন পরে নাও এটা। আমি তো এক্ষুণি বাড়ি চলে যাচ্ছি। তোমাকে তো আরো ঘন্টা দুয়েক থাকতে হবে-এই হলো মানবিক তারেক রহমান। তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সততা প্রশ্নাতীত।
দুর্নীতির ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় মেলে ২০০১ সালে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে। তারেক রহমানের ভাষায়, “আমি এমন কিছু করব না, যাতে আমার মান সম্মান নষ্ট হয়। আমার ফ্যামিলি ট্রাডিশন তো তেমন না। আমি যেমন আয় করব, সেভাবেই চলব।” তিনি আরও বলেছিলেন, আমার ব্যবসা কোনোটাই তো লুকানো নয়, প্রকাশ্য। তিনি উক্ত পত্রিকায় আরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন, কেউ দেখাতে পারবে না, মা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অবৈধ সুযোগ নিয়েছি। উল্লেখ্য, তারেক রহমান বিএনপির শাসনামলে কারো মানবাধিকার খর্ব করেননি, তাঁর বিরুদ্ধে লেখার জন্য কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করাননি, সংবাদপত্রের অফিসে তালা মারেননি। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে তিনি কোনো কাজ করেননি। গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রবান্ধব জিয়া পরিবারের ঐতিহ্য তিনি যথাযথ সমুন্নত রেখেছেন। একজন মানুষকে যেসব গুণ উন্নত রাজনীতিবিদ, বিখ্যাত নেতা এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে এর সকল গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। প্রবাদ আছে, ‘জনগণ যে রাজাকে ভালবাসে, বিধাতাও তাঁকে রক্ষা করেন।’ এদেশের জনগণ শহীদ জিয়ার পরিবারকে ভালবাসা দিয়েছিল, যেটা বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ গভীরভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ এবং তারেক রহমানের অস্তিত্ব যেহেতু অভিন্ন, সেহেতু এদেশের ভবিষ্যৎও তাঁর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত হয়ে আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নাম তারেক রহমান। মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হিসেবে তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাটি ও মানুষের কল্যাণের রাজনীতি আগামী প্রজন্মেও কাছে পৌঁছে দিবেন। তাঁর মা আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজীবনের সংগ্রাম যে গণতন্ত্র আর জনগণের মুক্তির জন্য তা একদিন আলোর মুখ দেখতে পারে তারেক রহমানের হাত ধরেই। আর এজন্যই বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী মানুষের পাশাপাশি গণমানুষের উজ্জীবিত সেøাগান হচ্ছে ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’।
লেখক : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়