কামাল হাসান জুয়েল
তারেক রহমান দিশেহারা জাতির পথিকৃত ও আলোর বাতিঘর
প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষনজন্মা পূরুষ; এক কিংবদন্তি নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক। বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমানের আগমন যেমন আকষ্মিক, তেমনি অবশ্যম্ভাবী। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বাঁক পরিবর্তনে তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত।জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থানকারী এই নির্লোভ দেশ প্রেমিক ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াকে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি। তিনি প্রকৃত জাতীয় নেতা, যার মন কখনই প্রাপ্তির দিকে ছিল না। দেশ ও জাতীকে ভাল কিছু দিতে পারার মধ্যেই ছিল তার আত্মতৃপ্তি। জিয়া তাঁর স্বমহিমায় ও মানবিক গুনাবলী দিয়ে আপাময় জনতার মন জয় করে নিতে পেরেছিলেন।
তিনি ছিলেন, নির্লোভ ব্যক্তিত্ব,বিত্ত নির্মোহতা, সততা, সাহসিতকতা, ধৈর্য্য, সহশীলতা, বিনয়ী ও ভদ্র আচরনের এক অনন্য অসাধারণ উদাহরণ। শহীদ জিয়ার জৈষ্ট পুত্র, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান যেন শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের জীবন্ত প্রকিকৃতি। শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা ও আদর্শিক রাজনীতির ষোলকলা যেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের মাঝে আপাদমস্তক নিহীত। ঠিক সেই কারনে শহীদ জিয়াউর রহমানের মতো এ দেশের আপাময় জনসাধারণের কাছে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তারেক রহমান একদিনে মানুষের ভালবাসা জয় করেননি। মানুষের ভালবাসা আদায় করেছেন ভালোবাসার বিনিময়ে। তরুণ বয়সে ১৯৮৮ সাল থেকেই বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে তারক রহমান তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শুরু করেন এবং ক্রমানুসারে বিকশিত হতে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক সাফল্য নির্মাণ করে যেই তিনি জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন এবং ২০০১সালের নির্বাচনে দলের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন এমনি তিনি প্রতিপক্ষের টার্গেট হয়ে গেলেন, এর পরই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা। পরবর্তীতে তারেক রহমান দেশব্যাপী বিএনপি ও ছাত্রদলের তৃণমুল প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিএনপিকে অত্যন্ত শক্তিশালী দলে পরিণত করলে, শুরু হয় আরো নানামূখী দেশী-বিদেশী চক্রান্ত ও প্রপাগান্ডা। যার অন্যতম কারন তারেক রহমানের চমকপ্রদ উত্থান ও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ও বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কাধ উঁচু করে। শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁহার গৃহিত পদক্ষেপ ও কর্মসূচীর মাধ্যমে আম জনতার মনিকোঠায় অতিসহজেই স্থান দখল করে নেন তারেক রহমান। আবাল বৃদ্ধবণিতা থেকে শুরু করে সবার কাছে সমানতালে জনপ্রিয়তা অর্জনে এই চৌকস নেতৃত্বের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সফল রাষ্ট্রপ্রতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে এদেশের মানুষের কাছে তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্ধের ষষ্টির মতো। তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষনতা দুরদর্শিতা, মেধা ও প্রজ্ঞা সাধারণ জনগনের হৃদয়ে ভালবাসা তৈরীতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখে। তারেক রহমানের স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয়তায় ভীত সন্তস্থ হয়ে ১/১১ সরকার নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালায়,সেই সাথে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েসী রায় দিয়ে তারেক রহমানকে জনগন থেকে বিছিন্ন করার নীল নকশা প্রণয়ন করে। গণতন্ত্র হত্যাকারী, লুটেরা এই সরকারের শীর্ষ নেতাদের ঘুম ভাঙে জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর স্বপ্ন দেখে। তাইতো প্রতিদিন রুটিন মাফিক শহীদ জিয়া,বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার ও তথ্যবিভ্রাট চালায়।ভোট ডাকাতি করে মিথ্যার মসনদে আসীন সরকার অনেক আগেই সাধারণ জনগণের কাছে থেকে মিথ্যাবাদী, মাফিয়া,ফ্যাসিস্ট ও লুটেরা খেতাব অর্জন করেছে। আর পক্ষান্তরে জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের প্রতি সাধারণ জনতার আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা আরও সূদৃঢ় হয়েছে। ৯৫ হাজার মামলায় ৭০ লক্ষ আসামী নিয়ে হিমালয়ের মতো মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা দলটির নাম বিএনপি। তার অন্যতম কারন বর্তমানে এই দলের দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌকস জননেতা তারেক রহমান। দেশ ও জাতীর চরম সংকটে দিশেহারা জাতীর পথিকৃত ও গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের বাতিঘর হিসেবে আবিভূত হয়েছেন তারেক রহমান। তাঁহার নতুন স্লোগান টেক ব্যাক বাংলাদেশ ও দেশ যাবে কোন পথে-ফয়সালা হবে রাজপথে। এই স্লোগানে জাতি নতুন করে আজ উজ্জিবীত। স্লোগান দুটি আন্দোলনের মূলমন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের দেখানো পথেই এদেশে গণতন্ত্র ফিরবে। আবারও হাসবে বাংলাদেশ,সেদিন আর বেশি দুরে নয়। তারেক রহমান বীরের বেশে ফিরবে আপন দেশে। যার প্রতিক্ষায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালবাসা ও দোয়া তার পথ চলার পাথেয় হবে। জনগণের বিশ্বাস তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবেন। সেই সম্ভাবনায় ইঙ্গিঁত ইতিমধ্যেই আপাময় জনসাধারণ পেয়েছেন। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আগামীতে সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণ হবে।