

রাত ৩টায় দাঁড়িয়েও মেলেনি ট্রেনের টিকিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫১ এএম, ১১ আগস্ট,সোমবার,২০২৫

রাত ৩টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বেলা ১০টা বেজে গেছে। এখনো লাইনে দাঁড়ানো। টিকিট পাব কি না সন্দেহ। প্রচন্ড গরমে এত ভিড়ের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানো মোহাম্মদ রফিক আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন। জামালপুরের টিকিট নিতে এসেছেন তিনি। তার কিছুটা দূরেই লাইনে দাঁড়ানো নাসিমা বেগম নামের এক নারী। নারীদের জন্য আলাদা লাইন না থাকায় তাকে দাঁড়াতে হয়েছে কমন লাইনে।
নাসিমা বলেন, মানুষ সব গায়ের ওপর আইসা পড়তেছে। এই ভিড়ে গরমে জান যায় যায়। তবু লাইনে দাঁড়ায় আছি। লেডিস লাইন থাকা দরকার ছিল। কিন্তু মনে হয় না দেহার কেউ আছে। গতকাল মঙ্গলবার ট্রেনের টিকিট কিনতে কমলাপুর আসা প্রায় সকলেই নাসিমা-রফিকের মতো ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ থেকে ৫ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি। তাই ভিড় বেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধের কারণ হিসেবে রেলওয়ে বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন হয়েছে। নতুন কোম্পানির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরকালীন সময়ে অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করার অনুরোধ জানিয়েছে রেলওয়ে। কমলাপুরে টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা বলছেন, বেশি ভিড় এবং নানা অনিয়মের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
টিকিট প্রত্যাশী আল আমিন বেলা ১১টায় বলেন, ৩০ মিনিট একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। এক কদম সামনে যেতে পারিনি। এক একজন ৫-৬টা করে টিকিট নিচ্ছে। অনেকে লাইন ভেঙে সামনে গিয়ে টিকিট নিচ্ছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার ও ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।