

আলোচিত সেই এডিসি হারুনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ২৯ জুলাই,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৪১ পিএম, ১৯ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে সরকার। ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ অধিদফতরের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ১১ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ১২ সেপ্টেম্বর রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় এনে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মারধর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল ও এডিসি হারুনের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে আসে। সেই দ্বন্দ্ব ছিল আজিজুলের স্ত্রী সানজিদাকে কেন্দ্র করে। প্রশাসন ক্যাডারের আজিজুল ও পুলিশের এডিসি হারুন দুজনই ৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
এ ঘটনায় পরে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তাকে রংপুর রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।