

রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে দেশ অনিরাপদ হয়ে উঠবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৭ এএম, ১৫ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা শান্তি ও জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত না পাঠাতে পারলে বাংলাদেশ অনিরাপদ হয়ে ওঠবে।’
আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) চার দিনব্যাপী ৪৬তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এরআগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে শুরু হয় এই সেমিনার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে সেমিনারের এবারের থিম হলো ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিরক্ষা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিয়ানমারকে অনুরোধ করছি তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। বাংলাদেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে চায়’।
সিনিয়র সামরিক নেতাদের নেতৃত্বে ২৬টি দেশের প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেয়। ৪৬তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
আইপিএএমএস হলো অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।