

ছয় মাসে ৪৭৬ নারী ধর্ষিত, নির্যাতন ও হত্যার শিকার ৮০৭ শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ৬ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৪ এএম, ৮ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৫

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্হিতির পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৭৬ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৪ নারীকে। একই সময় ৮০৭ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) লিখিতভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ সংখ্যাগত প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে—গত ২ এপ্রিল তেজগাঁও কলেজের একজন নারী প্রভাষককে ‘টিপ পরার কারণে’ লাঞ্ছিত করে এক পুলিশ সদস্য। ২ মে নরসিংদী রেল স্টেশনে ‘পোশাকের কারণে’ এক তরুণীকে হেনস্তা করা হয়। এ সময়কালে লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হয়েছেন ৮২ জন নারী। যাদের মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে পাঁচ নারী আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটে কর্তৃক তিন জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ সময় পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২২৮ নারী। এর মধ্যে ১৪০কে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯৮ নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে ৪৯ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছয় নারী। এ সময়কালে ১২ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
যাদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন আট নারী— যাদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ছয় মাসে মোট ৮০৭ শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৫২ শিশু, আত্মহত্যা করেছে ২৬ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ৫৬ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৩ শিশুর এবং বলাত্কারে ব্যর্থ হয়ে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গত ছয় মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতনে ১০ জন নিহত হয়েছেন।