বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ৮ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১৯ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
গতকাল শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, আমাদের জাতীয় জীবনের সকলক্ষেত্রে বিশ্বকবির গভীর প্রভাব বিদ্যমান। এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিরল সম্মান অর্জনকারী রবীন্দ্রনাথ তার উপন্যাস, কবিতা ও গানে গভীর জীবনবোধ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর আত্মনিবেদন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক অনাবিল শান্তি ও স্বর্গীয় আনন্দের আবহ তৈরি করে। তার সৃষ্টির মধ্যে প্রাণ-প্রকৃতি এক অনন্যরূপ ধারণ করে। তার রচিত গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনন্য সৃষ্টিতে একদিকে যেমন স্বজাতির মূঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, আবার অন্যদিকে তিনি জাতীয় জীবনের সব অচলায়তন ভেঙ্গে বিশ্বের অতি অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছিলেন। আবার স্বজাতির অনিন্দ্য সুন্দর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপাদানসমূহ এবং মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সূর ও বাণীর অনন্য ব্যঞ্জনায় ফুটিয়ে তুলেছেন তার প্রতিভাদীপ্ত সৃষ্টিকর্মে।
তার সঙ্গীত প্রাণে স্বর্গীয় প্রশান্তির আবহ তৈরি করে। তার সাহিত্য কর্মে শান্তি, মানবতা, মহত্ত্ববোধ ও পরমতসহিষ্ণুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে, তাই তার সৃষ্টিকর্ম জাতীয়তার গন্ডি পেরিয়ে দেশ দেশান্তরে হয়ে উঠেছে অসাধারণ। মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম ও দেশপ্রেম তার লেখনির প্রধান অনুষঙ্গ। আজও আমরা সবাই তার লেখনি দ্বারা উদ্বুদ্ধ।
কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সাবলীলভাবে সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার অমোচনীয় স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্মরণ করি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করতে তার অসামান্য অবদানের কথা।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বাতন্ত্র্য ধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমন্ডলে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্বকবি, স্বপ্নদ্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ মানব জীবনকে নানা বৈচিত্র্যে উদ্ভাসিত করতে তার সৃষ্টিকর্মে শিল্পমন্ডিত ঐশ্বর্যের মায়াবী স্বপ্নের জগৎ বিনির্মাণ করেন। তার রচনায় একই সঙ্গে সমাজ চেতনা ও মানব প্রেমের শাশ্বাত বাণী বিধৃত হয়েছে, আবার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানব প্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মার শান্তি কামনা করি। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য আমার একান্ত কাম্য।