জিল্লুরের বাড়িতে পুলিশ, উদ্বেগ ২২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
তথ্য সংগ্রহের নামে জনপ্রিয় টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের পৈতৃক বাড়িতে পুলিশ গিয়ে ‘ভয় দেখানোর’ যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। রবিবার এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন, জিল্লুর রহমান ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভয় দেখানোর যে অভিযোগ তুলেছেন, সে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে। এ অবস্থায় জিল্লুর রহমানের করা ওই অভিযোগ জনমনে এক ধরনের ভীতি ও শঙ্কার সৃষ্টি করে। বিজয়ের মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিকের করা এমন অভিযোগ জনমনে এই আশঙ্কারও উদ্রেক করে যে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে কি না, যা সার্বিকভাবে নাগরিক অংশগ্রহণমূলক ও অধিকারভিত্তিক বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ২২ ডিসেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে জিল্লুর রহমান বলেছেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তার পৈতৃক বাড়িতে গেছে। তিনি ঢাকায় থাকেন, তার একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তার কাছে যেতে পারতেন বা তাকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তারা তার পৈতৃক বাড়িতে গেছেন। তাকে, তার পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।