প্রবাসীদের সংগঠন ভয়েস অব গ্লোবাল সিটিজেনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানে বিবৃতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্বাধীনতার লক্ষ্য ও চেতনা ছিল সুশাসন, সমঅধিকার ও শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। দেশে বর্তমানে জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার হরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং বিরোধীমত দমনের মাধ্যমে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করছে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য। নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা–সমাবেশ করা জনগনের সাংবিধানিক অধিকার। বিরোধীমত দমন ও তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালের নামে আইনশৃঙ্খনা বাহিনী, সরকার ও সরকারি দল হামলা-মামলা ও হত্যা এবং বিরোদলীয় অফিস, বাসাবাড়ি ও আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে গণগ্রেফতার করে জনমনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ১৪ বছর ধরে এই সরকার জনগণের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মহোৎসব চালাচ্ছে। ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ঘিরে বিএনপির পার্টি অফিসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গুলিতে একজন নিহত, বহু লোকজন আহত, বিরোধী দলের ওপর দমন–পীড়নের প্রবাসীরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে প্রবাসী পেশাজীবিরা আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, আইনশৃঙ্খনা বাহিনী, সরকার ও সরকারি দলের বর্তমান অবস্থান ও মনোভাবে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ, ঘোলাটে ও সহিংস রুপ নিচ্ছে। যেটা কিনা কার জন্যেই ভাল কিছু হয়ে আনবে না। বিরোধী দলগুলো জনগণকে সাথে নিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতর্ফা ও রাতের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সর্বজনস্বীকৃত দলীয় সরকারের অধীনে কোনো অবাধ, সুষ্ঠ, অংশগ্রহনমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব না। এমতাবস্থায় বিরোধী দলগুলোর দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মানুষের হারানো ভোটধিকীর ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হউক। প্রবাসীরা বিরোধী দলগুলোর ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি সরকারের কাছে প্রত্যাশা করে যে, দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং বিরোধী দলগুলোর ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করে মানুষের হারানো ভোটধিকীর ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বিলম্ব ও অজুহাত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যা দেশ ও জাতির জন্য ভালো বার্তা বহন করবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও বহির্বিশ্বে বসবাসরত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন ভয়েস অব গোবাল সিটিজেনের বিবৃতিদাতারা হলেন- ভয়েস অব গ্লোবাল সিটিজেনের আহবায়ক ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম, সিনিয়র সাইন্টিস্ট, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন; বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মুজিবুর রহমান মুজুমদার, ফ্যাকালটি, ব্রুকডেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল; ফার্মাসিস্ট কামাল সাঈদ মোহন, নিউইয়র্ক; রৌশান হক, মাইক্রোবিলজিস্ট, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও ব্লগার, নিউইয়র্ক; ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ফ্যাকালটি আলবার্ট আইন্স্টাইন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন; ড. ইবরুল হাসান চৌধুরী, ফ্যাকালটি জেফাসন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন; ডা. ইউসুফ আল মামুন, ফ্যাকালটি মাউন্ট সানাই ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন; ডা. খাইরুল বাসার সিদ্দিক, নিউইয়র্ক; ভয়েস অব গ্লোবাল সিটিজেনের সদস্য সচিব ডা. আতিকুল আলম, লুন্ড ইঊনিভার্সিটি, সুইডেন; ডা. শহিদুজ্জামান শহীদ, রিয়াদ সৌদি; ডা. নিয়াজ মুহাইমেন, ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি; ডা. তারেক জামান, সাইন্টিস্ট অফিসার, ল্যাব কপোরেশন, নিউইয়র্ক; ডা. হাসিবুল হোসেন, টরেন্ট, কানাডা; প্রকৌশলী সাদেক আহমেদ, ম্যাকমাস্টার ইঊনিভার্সিটি, কানাডা; হাসান চৌধুরী, কারেকশন স্পেশালিস্ট, ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন এন্ড রিহেবিলিটেশন, ম্যারিল্যান্ড; প্রকৌশলী নূর ই আলম সিদ্দিকী, ইন্টেল কর্পোরেশন, আমেরিকা; ডা. হাসনাত রাসেদ, অ্যাডিলয়েড, অস্ট্রেলিয়া; আইটি স্পেশালিষ্ট সামসুল ইসলাম, নিউইয়র্ক; আইটি স্পেশালিষ্ট সৈয়দুল হক, নিউইয়র্ক; ড. নুরশেরাত আহমেদ, সাইন্টিস্ট, টুলিন ইউনিভার্সিটি; ডা. মাহবুবুর রহমান, নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটি; ডা. জাকির হোসেন, নিউইয়র্ক; ডা. ফরহাদ শেথ, নিউইয়র্ক; ডা. আসাদুজ্জান সুহিন, রিয়াদ সৌদি; সাংবাদিক ও লেখক জয়নাল আবেদিন, নিউইয়র্ক; আইটি স্পেশালিষ্ট আরিফ হোসেন, ওয়াসিংটন ডিসি; আইটি স্পেশালিষ্ট সোলাইমান চৌধুরী, নিউইয়র্ক; প্রকৌশলী শিবলী, নিউইয়র্ক; প্রকৌশলী মোহাম্মদ এহসান, নিউইয়র্ক; আইটি স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, ওয়াসিংটন ডিসি; আইটি স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ রানা, নিউইয়র্ক।