তথ্য পরিকাঠামো বিষয়ক প্রজ্ঞাপনে বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১১ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সম্প্রতি জারিকৃত তথ্য পরিকাঠামো বিষয়ক প্রজ্ঞাপনকে সরকারের দুরভিসন্ধি এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নতুন হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারার দোহাই দিয়ে জারিকৃত তথ্য পরিকাঠামো প্রজ্ঞাপন প্রতারণামূলক। সাংবাদিক সমাজ এটা প্রত্যাখ্যান করছে।
গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করবে। একই সঙ্গে এটি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে যে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেটাকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্যই মূলত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির তথ্য যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে আত্মরক্ষার কৌশল নিয়েছে। এ অপতৎপরতার নেপথ্যে যে সরকারের অসদদুদ্দেশ্য ও দুরভিসন্ধি রয়েছে ঠান্ডা মাথায় তালিকা যাচাই করলেই সেটি স্পষ্ট ওঠবে। তালিকায় রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, অডিট বিভাগ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম নেই। মূলতঃ আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তালিকার মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। যারা নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে। সাংবাদিকরা যেন এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে না পারে-সেজন্যই এই প্রজ্ঞাপন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবাদমাধ্যমের ওপর এটি আরেকটি খড়্গ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল, 'গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো' সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং সাংবাদিকদের অর্থদন্ডের বিধান রেখে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।