দেশে পাঁচ মাসে ১১৮ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার : আর্টিকেল নাইনটিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১২ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২১ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১৮ জন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন। এছাড়া জুন মাসেই তিন গণমাধ্যমকর্মী খুন হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনসহ সাংবাদিক খুন ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
বিশ্বজুড়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাসহ নির্যাতনের ধারা অব্যাহত। এই প্রবণতা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতির ক্রমাবনত নাজুক অবস্থা ও বিচারহীনতার পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
চলতি জুন মাসে রাজধানী, পটুয়াখালী ও কুমিল্লায় তিন গণমাধ্যমকর্মী খুনের ঘটনায় শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে আর্টিকেল নাইনটিন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা ও নির্যাতন এবং সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমাদান ৮৯তম বারের মতো পেছানোর নিন্দা জানিয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর ৬২টি শারীরিক হামলা হয়েছে। এ সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১০টি মামলায় ৩ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালে ৭১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলায় ১৬ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হন। সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর এসব ঘটনার প্রভাবে দেশে একটি ভয়ের পরিবেশ ও সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, আর্টিকেল নাইনটিন শুরু থেকেই মতপ্রকাশের অধিকার ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে চিহ্নিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। আইনটির অপপ্রয়োগ হয়েছে স্বীকার করে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের একাধিক মন্ত্রী এ আইনে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করার পাশাপাশি আইনটির সংস্কারের আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্ত এরপরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। আইনটি সুষ্ঠু প্রয়োগের চেয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করাসহ অপপ্রয়োগই বেশি হচ্ছে। আইনটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান তিনি।