দুর্বল নারীই ‘গ্যাং রেপের’ শিকার বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১১ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মোবাইল ফোনে প্রেম। অতঃপর কিশোরগঞ্জে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নরসিংদীর এক কিশোরী। গত ৭ এপ্রিল এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী। থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে নরসিংদীর ওই কিশোরীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে মো. আজহারুল ইসলামের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৫ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে প্রেমিক আজহারুলের সঙ্গে দেখা করতে নরসিংদী থেকে কিশোরগঞ্জ সদরের নতুন জেলাখানা মোড় আসেন কিশোরী। বাস থেকে নামার পর প্রেমিক আজহারুল ও তার বন্ধু রাজন মিয়ার সঙ্গে দেখা হয় তার। রাত ১০টার দিকে আজহারুল ওই কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যাবে বলে বিন্নাটি একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ কাজে সহযোগিতা করে তার বন্ধু রাজন মিয়া।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগ দায়ের পর থেকে আসামিদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শুধু নরসিংদীর ওই কিশোরী নয়। এভাবে সারাদেশে একের পর এক নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গণধর্ষণের (গ্যাং রেপ) ঘটনাও। গত ২৯ মার্চ গোপালগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরিত্যক্ত ইটভাটার ঝোপের মধ্যে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী কেনাকাটার জন্য বাড়ি থেকে হেঁটে বাজারে যাচ্ছিলেন। পরিত্যক্ত ইটভাটার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল যুবক তাকে জোরপূর্বক ইটভাটার ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। অপর তিন যুবক সহযোগিতা ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। তারা এমনও হুমকি দেয় যে ঘটনাটি কাউকে জানালে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার বৌলতলী ফাঁড়ির ইনচার্জ এইচ এম জসিম উদ্দিন। দেশে কেন বাড়ছে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের (গ্যাং রেপ) মতো ঘটনা জানতে চাওয়া হলে নারীদের নিয়ে কাজ করা কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানান, দিনদিন ধর্ষণের ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়ে চলছে গণধর্ষণের ঘটনাও। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অপরাধীরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নারীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের টার্গেট করছে। যাতে অপরাধীরা সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে বাঁচতে পারেন। তারা বলছেন, ধর্ষণকারীদের বিচারে রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীন মনোভাবের কারণে এমন অপরাধ দিনদিন আরও ভয়ঙ্কর রূপ পাচ্ছে। ফলে কোনো তোয়াক্কা ও ভয়ভীতি ছাড়াই ধর্ষণকারীরা গণধর্ষণ করে চলছে। ওপরের ওই দুটি ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি আরও দুটি গণধর্ষণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়। ঘটনা দুটি হলো- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাসায় ফেরার পথে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। অন্যদিকে, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে অপরাধীরা সামাজিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল টার্গেটদের বেছে নেয়। হালুয়াঘাটের গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণকারীরা সামাজিকভাবে দুর্বল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই কিশোরীকে টার্গেট করে। অন্যদিকে, কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়া গৃহবধূকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ধর্ষণ করে। যদিও ওই দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাও হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, বিগত ধর্ষণ মামলাগুলোর মতো এ মামলা দুটিও চলবে বছরের পর বছর। এর মধ্যে অভিযুক্তরা জামিনে বের হয়ে ভিকটিমদের মামলা তুলে নিতে চাপ দেবে; নয়তো রায় ঘোষণার আগেই নিরাপদে পালিয়ে যাবে। গণধর্ষণের পরিসংখ্যান যা বলছে: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০২১ সালে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ৩২১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৪৭ নারীকে এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন নয় নারী। এছাড়া বছরজুড়ে ২৯৩ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
গণধর্ষণের ক্ষেত্রে আসকের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ২০২১ সালে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫২ নারী। এর মধ্যে নয় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এক নারী গণধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন। গণধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে ৭-১২ বছরের ১৭ জন, ১৩-১৮ বছরের ৫০ জন, ১৯-২৪ বছরের ১৮ জন, ২৫-৩০ বছরের ১৫ জন, ৩০ বছরের ওপরে রয়েছেন ৫২ জন। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে মোট ১৭৭টি। বাকি ৭৫টি ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো মামলা হয়নি।
অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি বছর গণধর্ষণের হার বেড়েই চলেছে। ২০১০ সালে ১০৭ নারী, ২০১১ সালে ১৬৫ নারী, ২০১২ সালে ১৫৭ নারী, ২০১৩ সালে ১৮৫ নারী, ২০১৪ সালে ১৭৪ নারী, ২০১৫ সালে ১৯৯ নারী, ২০১৬ সালে ১৬৬ নারী, ২০১৭ সালে ২২৪ নারী, ২০১৮ সালে ১৮২ নারী, ২০১৯ সালে ২৩৭ নারী, ২০২০ সালে ২৩৬ নারী এবং ২০২১ সালে ১৭৬ নারী গণধর্ষণের শিকার হন। ২০২১ সালে ১১১৭ কন্যাশিশুকে ধর্ষণ: ২০২১ সালে এক হাজার ১১৭ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে একক ৭২৩, দলবদ্ধ ১৫৫, প্রতিবন্ধী ১০০ ও অন্যান্যভাবে ১৩৯ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার কন্যাশিশুর সংখ্যা ছিল ৬২৬ জন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কন্যাশিশু ধর্ষণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৪ দশমিক ৪৩ ভাগ। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে ১১৬ কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালের তথ্য মোতাবেক, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল ১০৪ জন। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর যৌন হয়রানি বৃদ্ধির হার প্রায় ১২ শতাংশ। নির্যাতনগুলোর অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে রাস্তায়, নিজের বাসায়, নিকটতম আত্মীয়-পরিজন ও গৃহকর্তার দ্বারা। যৌন নির্যাতনে অপেক্ষাকৃত নতুন ধরন পর্নোগ্রাফি। ২০২১ পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ৫২ কন্যাশিশু। ২০২১ সালে এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছে ১০ কন্যাশিশু। পারিবারিক বিবাদ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, সম্পত্তি সংক্রান্ত আক্রোশের কারণে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ২০৬ কন্যাশিশু।
এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সিনিয়র উপপরিচালক নিনা গোস্বামী বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছরই গণধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। একেকটা গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হচ্ছে ৫-১০ জন করে। সিঙ্গেল ধর্ষণের মামলায় আসামি হয়তো একজনকে করা হয়। গণধর্ষণের বেলায় একাধিক মানুষকে যুক্ত করা হয়। এত মানুষ একসঙ্গে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এটা সমাজের নারীদের জন্য অশনিসংকেত।
পরিকল্পনা করে হচ্ছে গণধর্ষণ: আসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণের ঘটনা হঠাৎ করে ঘটে যায় এমন নয়। আগে থেকে পরিকল্পনা করে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। একই মনস্ক ও চিন্তাধারার বন্ধুরা মিলে একজন নারী বা কিশোরীকে টার্গেট করে গণধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেটকে তারা নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর যেন আইনি কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে ভিকটিমকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে নিয়মিত ভয় বা হুমকি দেয় অপরাধীরা। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান শক্ত হওয়ায় সালিশে এসব ঘটনার অধিকাংশ শেষ হয়ে যায়। আর যারা মামলা করেন তাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশও বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে ভিকটিমদের পক্ষ না নিয়ে অপরাধীদের পক্ষে কাজ করেন।
কেন দুর্বল নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন : বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গণধর্ষণের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যারা ভিকটিম তারা অপরাধীদের চেয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অবস্থানে থাকেন। দুর্বল অবস্থানের কারণে তাদের টার্গেট করা হয়। অনেক সময় শিক্ষিত ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী নারীরাও গণধর্ষণের শিকার হন।
এ বিষয়ে আসকের সিনিয়র উপ-পরিচালক নিনা গোস্বামী বলেন, গণধর্ষণের জন্য অপরাধীরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের এ কারণে বেছে নেয় যেন ঘটনার পর তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে না হয়। সামাজিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা ভিকটিমকে দাবিয়ে রাখতে চায়। ভিকটিম যেন জীবন ও মানসম্মানের ভয়ে অপরাধীদের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস না দেখায়। এক্ষেত্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও বেশি উৎসাহিত করে। দিনদিন গণধর্ষণ বা ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা রোধ করতে না পারার অন্যতম একটি বাজে উদাহরণ হচ্ছে বিচারহীনতা। দিনের পর দিন মামলা আদালতে চলতেই থাকে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম ১০, ১৪ এমনকি ২০ বছর ধরেও চলে। আবার শাস্তি হলেও অনেক আসামি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে আবার ধর্ষণের ঘটনার পর বিদেশে চলে যান। এমনও দেখা যায়, আসামিরা তার সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে জামিনে বের হয়ে ভিকটিমকে বাধ্য করেন মামলা তুলে নিতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধর্ষণ বা গণধর্ষণ তখনই বন্ধ করা সম্ভব, যখন অপরাধীদের বিচার নিন্ডিত করা যাবে। আমরা অনেক কথা বলি, আন্দোলন করি; কিন্তু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ বন্ধ হয় না। এর একমাত্র কারণ বিচারহীনতা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হচ্ছে, আসামিরা গ্রেফতারও হয়। কিন্তু বিচার হওয়ার হার অনেক কম। চিহ্নিত ধর্ষক জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে। তাই শুধু আইন প্রয়োগ বা গ্রেফতার করে নয়, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে বিচার নিন্ডিত করতে হবে।
আসকের সিনিয়র উপপরিচালক নিনা গোস্বামী বলেন, আমাদের দেশে ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম অনেক ধীরগতিতে চলে। ফলে অভিযুক্তরা জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। জামিনে থাকার সময় অভিযুক্তরা কোনো ধরনের মনিটরিংয়ে থাকে না। এটা একটা সমস্যা। রায় ঘোষণার আগে এসব আসামি পালিয়ে যায়। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার অনেকে নানা কৌশলে বিদেশে চলে যায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি না টানলে ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হবে না।