বিশ্বে দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।
আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) প্রকাশিত ‘বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউএয়ার’ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১১৭টি দেশ-অঞ্চলের ৬ হাজার ৪৭৫টি শহরের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
মূলত বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম-২.৫-এর পরিমাণ দেখে তালিকাটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাতাসের প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ৭৬.৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটারে যা থাকার কথা ১০-এর কম। বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পরে রয়েছে চাদ, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত, ওমান, কিরগিজস্তান, বাহরাইন, ইরাক ও নেপালের নাম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর নয়াদিল্লি (ভারত)। দূষিত বায়ুর শীর্ষ ১০ রাজধানী শহরের মধ্যে নয়াদিল্লির পরে রয়েছে ঢাকা (বাংলাদেশ), এনজামেনা (চাদ), দুশানবে (তাজিকিস্তান), মাসকট (ওমান), কাঠমান্ডু (নেপাল), মানামা (বাহরাইন), বাগদাদ (ইরাক), বিশকেক (কিরগিজস্তান) ও তাশখন্দ (উজবেকিস্তান)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ এখন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশগত স্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত। বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। হাঁপানি, ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ফুসফুসের অসুখসহ অনেক রোগের কারণ বায়ুদূষণ। এ রোগ বৃদ্ধির জন্যও বায়ুদূষণ দায়ী।
বায়ুদূষণের দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা মোট বিশ্ব উৎপাদনের ৩ থেকে ৪ শতাংশ। বায়ুদূষণ তাদেরই বেশি প্রভাবিত করে, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪০ হাজার শিশুর মৃত্যু সরাসরি পিএম ২.৫-জনিত বায়ুদূষণের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ ছিল। বিশ্বের ৫০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ৪৬টিই এই অঞ্চলে অবস্থিত।
আইকিউএয়ার বায়ুর মান বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করে থাকে। একই সঙ্গে তারা বিশ্বব্যাপী বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে। সে অনুযায়ী প্রতিবছর বায়ুমান সূচক প্রকাশ করে।