সৌম্য-লিটন একদিন খেলে দিলেই হবে: পাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ৩ জুন,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:২১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মে নেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তবুও এই দুই ক্রিকেটারের উপরই ভরসা রেখে যাচ্ছেন নির্বাচকরা।
সামর্থ্য কিংবা প্রতিভা থাকলেও পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই একদমই। সৌম্যর চেয়েও বাজে অবস্থা লিটন দাসের। চলতি বছরে যেন ব্যাটই হাসছে না তার। এবছর এখন পর্যন্ত কোন হাফ সেঞ্চুরি করতে না পারা লিটন ব্যর্থ দ্রুত রান তুলতেও।
বাজে ফর্মের কারণে মাঝে একাদশ থেকে বাদও পড়েছিলেন তিনি। ওপেনিংয়ে ভালো করতে না পারায় তিনেও ব্যাটিং করানো হয়েছে লিটনকেও। তবুও ব্যাট হাতে রানের দেখা পাচ্ছেন না বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তাদের অফ ফর্ম চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের। যদিও নাজমুল হাসান পাপন জানান তারা দুজন একদিন খেলে দিলেই হবে। তবে বোর্ড সভাপতি নিজেও জানেন না তারা কবে খেলবেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাপন বলেন, ‘ সৌম্য আর লিটন দাস একদিন খেলে দিলেই হবে। ওই দিনটা কোনদিন ওইটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের দরকার এখনই। আমরা এটাই আশা করতে পারি যত তাড়াতাড়ি তারা তাদের সাহস এবং ফর্মটা ফেরত পাক।’
চোখের সমস্যার পর থেকে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। আপাতত অভিজ্ঞতার উপর ভর করেই খেলে যাচ্ছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। এদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরোটা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে অধিনায়ক হিসেবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার পরিবর্তে অফ ফর্মে পড়ে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাপন আশা করেন শান্ত দ্রুতই রানে ফিরে আসবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাকিব আছে অভিজ্ঞ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছে। এখন আসেন তার আগে যারা আছে। এদের নিয়ে যদি আমি কথা বলতে যাই তাহলে অবশ্যই সৌম্য, লিটন দাস, শান্ত। আশা করছি শান্ত যেকোনো সময় রানে চলে আসবে।’
বেশ বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। সবশেষ এক-দেড় বছর ধরে জাতীয় দলে খেললেও অনেকটা তরুণ তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট হাতে রিয়াদের পাশাপাশি পারফর্মও করছেন তিনি। তরুণ তানজিদ হাসান তামিমের সামর্থ্যেরও আস্থা রাখছেন পাপন।
বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘দেখুন, তানজিদ তামিমের সামর্থ্য আছে, এটা অস্বীকার করে কোনো লাভ নেই। তাওহীদ হৃদয়ের সামর্থ্য আছে, ওরা ভালো খেলছে। ওরা যে একেবারে খারাপ খেলছে তা না। ওরা তো একেবারে নতুন, ওদের তো এত তাড়াতাড়ি দেয়ারই (সুযোগ) কথা না।’