ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন ভেঙে রেকর্ড ১৫তম শিরোপা রিয়ালের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ২ জুন,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধে বলতে গেলে রিয়াল মাদ্রিদ পাত্তাই পায়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে, প্রথম এক ঘণ্টায় তৈরি করতে পারেনি বলার মতো কোনো সুযোগ। তাদের একের পর এক আক্রমণের তোড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা মাদ্রিদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রূপে হাজির আনচেলত্তির দল। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করল কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২০ মিনিটে ম্যাট হামেলসের থ্রু বল ধরে রিয়াল গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন করিম আদেমি। থিবু কোর্তোয়াকে কাটাতে গিয়ে সময় নষ্ট করে ফেলেন তিনি, ততক্ষণে কার্ভাহাল এগিয়ে এসে ঝুঁকিমুক্ত করেন রিয়ালকে।
২৩ মিনিটে জোড়া আক্রমণ করে বরুশিয়া। সানচোর পাস থেকে ফুলক্রুগ রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পাশ কাটিয়ে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বক্সের দিকে ঠেলে দেন। কিন্তু তা ভেতরের পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস। বরুশিয়া গোলরক্ষকের পায়ে আঘাত করার কারণে কার্ড দেখেন তিনি। হলুদ কার্ড দেখেন ডর্টমুন্ডের স্লটারব্যাকও। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে কারভাহালের শট কোনরকমে ঠেকান ডর্টমুন্ডের সুইস কিপার গ্রেগর কোবিয়াল। ৭৪ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ক্রুসের নেওয়া কর্নার কিক থেকে হেডে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কারভাহাল। শেষ ম্যাচে মহা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট করা ক্রুস হন উৎসবের মধ্যমণি।
৮৩ মিনিটে আর আটকানো যায়নি ভিনিসিয়ুসকে। রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এই গোলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের জয়। শেষ পর্যন্ত বাকি সময়ে বরুশিয়া কোনো চমক দেখাতে ব্যর্থ হলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের উৎসবে মাতে মাদ্রিদের ফুটবলাররা।
উল্লেখ্য, এক মৌসুম আগেই (২০২১-২২) রিয়াল জিতেছিল এই শিরোপা। মাঝে এই শ্রেষ্ঠত্ব কেড়ে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি (২০২২-২৩)।
১৯৮১ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৮৩ সালে পর থেকে কোনো ইউরোপিয়ান ফাইনালে হারেনি এই স্প্যানিশ পরাশক্তি। ২০২৪ সালে এসেও সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলো লস ব্লাঙ্কোসরা।