তোর ন্যাশনাল টিম থেকে আমার আবাহনী এখন স্ট্রং, শান্তকে সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আর কখনো জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চান না খালেদ মাহমুদ। দলে তাকে যথেষ্ট সম্মান দেয়া হয়নি বলে অভিযোগও এনেছেন তিনি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেনো তাকে টিম ডিরেক্টর করা না হয়। এদিকে লিটনকে ক্রিকেটে আরো মনোযোগী হবার পরামর্শ খালেদ মাহমুদের।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, কালকে শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম যে তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন স্ট্রং।
জাতীয় দল এখন শান্তর, খালেদ মাহমুদের শুধুই আবাহনী। একটা সময় জাতীয় দল নিয়ে যতটা আবেগ কাজ করতো, এখন আগ্রহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে গেলো বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে। টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলে থাকলেও তার কার্যকারিতা ছিলো শূণ্যের কোটায়। যথেষ্ট সম্মানও পাননি খালেদ মাহমুদ। একাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
বিসিবির এ পরিচালক আরও বলেন, হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে সেটা আমার কাছে কোন মূল্য রাখে না। আমার বাংলাদেশে অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে। তাই আমি কোনোভাবেই আমার সম্মান হারাতে চাই না।
যে কারনে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা করাতে দেননি খালেদ মাহমুদ। জাতীয় দলের সাথে আর কোনভাবেই নিজেকে জড়াতে চাননা সাবেক এ অধিনায়ক। গণমাধ্যমের মাধ্যমে বোর্ড সভাপতির কাছে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, আমি মনে করি আমি কোন সলিউশন না এখন আর। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি পাপন ভাইকে যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে কোন কাজ করতে না বলেন।’
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আবাহনীর হয়ে খেলেননি লিটন দাস। নিজের অফ ফর্মের কারনে ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। টাইগার ওপেনারের সমস্যা ভাবাচ্ছে খালেদ মাহমুদকেও। লিটনকে একজন টিমমেট হিসেবে গড়ে ওঠার পাশাপাশি ক্রিকেটে আরো মনোযোগী হবার পরামর্শ এ বোর্ড পরিচালকের।
খালেদ মাহমুদ আরও বলেন, একটু সিনিয়র খেলোয়াড় হয়ে গেছে, একটু রিজার্ভ টাইপের হয়ে গেছে। ওকে এগুলো থেকে আস্তে আস্তে বের হতে হবে। সবার সঙ্গে মিশতে হবে, ক্রিকেটকে আরেকটু সময় দিতে হবে। লিটন আগে বিবাহিত ছিল না এখন বিবাহিত পরিবার আছে। কিন্তু তারপরও কারণ এটা প্রফেশন।
তাসকিন, শরিফুল, খালেদ, তানজিম সাকিবরা আবাহনীতেও দুর্দান্ত। ক্লাব ক্রিকেটে একই দলে খেলায় তাদের মধ্যে বন্ধনটা আরো দৃঢ় হচ্ছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যার সুফল পাবে বাংলাদেশ বিশ্বাস খালেদ মাহমুদের।