প্রথম দিনেই দুই সফল অধিনায়কের বিপিএল মিশন শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৪৭ এএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সাজসাজ না থাকলেও আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। নানা শূন্যতার হাহাকার শোনা গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কেউই পিছিয়ে নেই। ক্রিকেটাররাও উন্মুখ হয়ে আছেন ময়দানি লড়াইয়ে নামতে। টি২০ বিনোদন নিতে সমর্থকরাও মুখিয়ে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে খেলার উন্মাদনা ছড়াতে মাঠে নামবে চারটি দল- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। প্রথম ম্যাচ থেকে বিদেশি ক্রিকেটারও খেলাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। শীতের দুপুরের মোলায়েম রোদ গায়ে মেখে চট্টগ্রাম-সিলেটের ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু বিপিএলের নবম আসরের। যেখানে দিনের খেলা শেষ হবে সন্ধ্যার শিশিরভেজা কুমিল্লা ও রংপুরের ম্যাচ দিয়ে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ কম দেখা যেতে পারে। তবে মাশরাফি ভক্তদের জন্য ভালো লাগা নিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। নড়াইল এক্সপ্রেসের নেতৃত্বে খেলবে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির হাতেই গড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো, স্পন্সর জোগাড় করা থেকে সিলেটের সবকিছুতেই তিনি। স্বাভাবিকভাবেই মাঠের নেতৃত্বেও যত্নের ছাপ ফেলার চেষ্টা থাকবে তাঁর।
মুশফিকুর রহিমদের নিয়ে সিলেটকে গোছানো একটি দলই মনে হচ্ছে অধিনায়কের কাছে, ‘ভালো গোছানোই মনে হচ্ছে। যাঁরা কোচিং স্টাফে আছেন, ক্রিকেটার সবার ভেতরে সমন্বয়টা ভালো। মাঠে কেমন করবে সেটা তো বলা কঠিন। ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় ভালো কিছু করতে। সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও অবশ্য তাঁর ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো আর বলেকয়ে হয় না। মাঠে ভালো করতে হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। কাল যদি ভালো করতে পারি, একটা ছন্দ পাওয়া যাবে। তাই শেষের দিকে না তাকিয়ে শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করব আমরা।’
বিদেশি কোচিং স্টাফ নিয়োগ দিলেও দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার মিলিয়ে মানের দিক থেকে চট্টগ্রামকে অতটা শক্তিশালী বলা যাবে না। সেদিক থেকে উদ্বোধনী ম্যাচের ফেভারিট থাকছেন মাশরাফিরাই। রংপুর ভালো দল গড়লেও কুমিল্লার মতো শক্তিশালী নয়। চ্যাম্পিয়ন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন অভিজ্ঞ এবং তরুণ মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি দল পেয়েছেন। কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস তো সৌভাগ্যের পাখি।
মাশরাফির পর সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এবারও সঙ্গী করেছেন চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন, ‘কুমিল্লা সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল করে। এ বছরও একই পরিকল্পনা রয়েছে। চেষ্টা করব এ বছরও শিরোপা ধরে রাখতে। এ জন্য মাঠে ভালো খেলতে হবে। কাগজে-কলমে যত শক্তিশালীই হন না কেন, মাঠে খেলতে না পারলে লাভ হবে না।’ গতকাল ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইমরুলদের মতো মিরাজরাও শুনিয়েছেন স্বপ্নের কথা।