গোল দিয়েই কাঁদলেন ডি মারিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে শুরুতেই চমক আর্জেন্টিনার। টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলা ফ্রান্সকে ৩৮ মিনিটের মাথায়ই ২ গোল দিয়ে ফেলেছে লিওনেল মেসির দল। তাতে ৩৬ বছরের শিরোপাখরা কাটানোর দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছে দলটি। ব্যবধান দ্বিগুণ করার গোলটা করে তাই আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি ডি মারিয়া। ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন আর্জেন্টাইন এ তারকা। ৩৮তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পান হুলিয়ান আলভারেজের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পান আনহেল ডি মারিয়া। চমৎকার শটে ফ্রান্সের গোলকিপার উগো লরিসকে পরাস্ত করেন ডি মারিয়া। এর আগে ২২তম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিটাও এনে দেন মারিয়া। বক্সের ভেতর তাকে ফাউল করেন উসমান দেম্বেলে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি শিমন মারচিনিয়াক। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ইনজুরিতে ভুগছেন ডি মারিয়া। খেলতে পারেননি বিশ্বকাপের অনেকগুলো ম্যাচই। গত তিন ম্যাচেও ছিলেন না শুরুর একাদশে।
লুসাইলে আর্জেন্টিনার গর্জন : কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আসনের স্টেডিয়াম লুসাইল। ৮০ হাজার ধারণ ক্ষমতা থাকলেও মেক্সিকো-আর্জেন্টিনা ম্যাচে ৮৮ হাজারও হয়েছে। গতকাল রবিবার ফাইনালে সেই সংখ্যার কাছাকাছি হওয়ার কথা।
লুসাইল স্টেডিয়ামের গ্যালারির যেদিকে চোখ যায় সেখানেই আর্জেন্টিনার জার্সি না হয় পতাকা। লুসাইল স্টেডিয়াম যেন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স। খেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের গান। পুরো স্টেডিয়াম তাদের দখলে। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তাদের সমর্থক খুব কম। ফ্রান্সের গোলপোস্টের পেছনেই মূলত তাদের অবস্থান। ফ্রান্সের সমর্থকরা এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ।
ব্রাজিল এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। ব্রাজিলের সমর্থকদের অনেকে টিকেট কেটেছিলেন ফাইনালের। প্রিয় দল ফাইনালে না উঠলেও কয়েকজন ব্রাজিলের জার্সি পরেই খেলা দেখতে এসেছেন। আবার অনেকে লাতিন হিসেবে আর্জেন্টিনার জার্সিও পরেছেন।