চট্টগ্রাম টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৫০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০১ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
২৪১ রান অথবা সারা দিন ব্যাটিং করা। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল এমন। তবে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং-ই বলছিল, সারা দিন ব্যাটিংয়ের মানসিকতা নিয়ে নামেননি তারা। সাকিবদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং টিকল না বেশিক্ষণ। ১১.২ ওভারে এ দিন স্বাগতিকেরা তুলেছে ৫৮ রান, তবে পঞ্চম দিন ৪৮ মিনিটেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হারল ১৮৮ রানে। ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকেই মিরপুর টেস্টে নামবে ভারত।
দিনের প্রথম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজকে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন মিরাজ। তবে সিরাজের পরের ওভারে শরীর থেকে বেশ দূরে ব্যাট চালিয়ে ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। দিনের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, মিরাজ আজ যোগ করেন ওই ৪ রানই।
অক্ষর প্যাটেলের ওপর সাকিব চড়াও হন শুরু থেকেই। এ বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম ওভারে সুইপ করে মারেন ছক্কা, পরের ওভারে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অফের ওপর দিয়ে মারা পরের ছক্কায় ফিফটি হয়ে যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের। মাইলফলকে যেতে লাগে ৮০ বল। ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৩০তম ফিফটি।
পরের আক্রমণ সাকিব করেন সিরাজকে, মিড অন দিয়ে চার মারেন, এরপর হুক করে মারেন ছয়। সে ছয়ের পরের বলেই স্ল্যাপ করে মারা সাকিবের চারে ৩০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ পেরোলো বাংলাদেশ, সর্বশেষ এমন হয়েছিল ২০১০ সালে, এ মাঠেই চট্টগ্রামের বিপক্ষে। সেবারও লক্ষ্য ছিল ৫১৩ রান।
সাকিব এরপর অক্ষরকে টেনে ওয়াইড লং অন দিয়ে মারেন ছয়, এ বাঁহাতি স্পিনারকে সামলানোর দায়িত্ব যেন গতকাল থেকে একাই কাঁধে তুলে নেন। এক প্রান্তে সিরাজকে সরিয়ে আনা হয় কুলদীপ যাদবকে, তাঁকে সুইপ করে চার মারেন সাকিব। শেষ বলে সব ফিল্ডারকে সামনে এনেছিলেন রাহুল, সাকিব করতে চেয়েছিলেন সুইপ। তবে মিস করে হন বোল্ড, সাকিবের ঝড় থামে ৮৪ রানেই। গত চার বছরে টেস্টে সাকিবের এটি সর্বোচ্চ স্কোর।
সাকিব ফেরার পর বাংলাদেশ বেশিক্ষণ টেকেনি আর। ৪ বলের ব্যবধানে ফিরেছেন ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। কুলদীপের ম্যাচে অষ্টম শিকারে পরিণত হন ইবাদত, শর্ট লেগে ক্যাচ দেন তিনি। তাইজুল বোল্ড হন অক্ষরের বলে, ইনিংসে যেটি অক্ষরের চতুর্থ উইকেট।
আগামী ২২ ডিসেম্বর শুরু মিরপুর টেস্ট।