পোল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৩০ এএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের চমকপ্রদ জোড়া গোলে এবং অলিভার জিরুর রেকর্ডে ৩-১ গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স উঠল গেল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।
গোল করলেন, করালেন অতঃপর দলকেও জেতালেন এই ২৪ বছর বয়সী তরুণ তুর্কি। কিলিয়ান এমবাপ্পের এই জোড়া গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে শেষ আটে ঢুকে গেছে ফরাসিরা। পিএসজি তারকার আলো ছড়ানোর রাতে রেকর্ড গড়েছেন অলিভিয়ের জিরুও। ম্যাচের প্রথমার্ধে দলকে ১ গোলে এগিয়ে দিয়ে ফ্রান্সের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হন জিরু (৫২)। এর আগে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন থিয়েরি অঁরি (৫১টি)।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের রাউন্ড অব সিক্সটিনের তৃতীয় ম্যাচে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। যেখানে অলিভিয়ের জিরুর এক গোল ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে পোল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স।
ম্যাচের চর্তুথ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ফ্রান্স। রাফায়েল ভারানে গ্রিজম্যানকে বল ঠেলে দিলে গ্রিজম্যান ডান দিকে থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে এরপরই ফ্রান্স গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ফ্রান্সের চুয়ামিনি পোল্যান্ডের রক্ষণে বল পেলেও পোল্যান্ডের গোলকিপার ভয়চক সেজনি তা রুখে দেন। ম্যাচের ২০ মিনিটে আবারো ফ্রান্সকে হতাশ করেন সেজনি।
এক মূহুর্ত পরেই গোল করার বড় সুযোগ পায় পোল্যান্ড। তবে রবার্ট লেভানডফস্কি দারুণ এক শট নিলেও গোল করতে পারেননি। তবে প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময়ে ফ্রান্সের ফরোয়ার্ডরা শুধু হতাশই করেছেন। ২৯ মিনিটে ওপেন গোল করার সুযোগ মিস করেন অলিভিয়ের জিরুর। এছাড়া ৩৫ মিনিটে সুযোগ হারান কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিপরীতে ৩৮তম মিনিটে ডাবল সেভ করে পোল্যান্ডকে হতাশ করেন ফ্রেঞ্চ গোলকিপার হুগো লরিস।
অবশেষে ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে পোল্যান্ডের রক্ষণদূর্গ ভাঙতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের এসিস্ট থেকে গোল করেন অলিভার জিরুর। ফ্রান্স লিড নেয় ১-০ ব্যবধানে। এরপর বেশ কয়েকটা ছোট আক্রমণ হলেও তা ভয়ের কারণ হতে পারেনি। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ফ্রান্সের আক্রমণের ধারা চালু থাকে। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গ্রিজম্যান ডান প্রান্ত থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও পোলিশ গোলকিপার সেজনি ধাক্কা দিয়ে বল সরিয়ে দেন। থিও হার্নান্দেজ রিবাউন্ড থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। তবে খেলা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে লেজ ব্লুজরা।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ফ্রান্স। ওসুমান ডেম্বেলের এসিস্ট থেকে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০ তে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আবারো গোল পায় ফ্রান্স। স্কোরার আবারো কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার এসিস্ট করেন বদলি হিসেবে নামা মার্কাস থুরাম। ফ্রান্স লিড নেয় ৩-০ ব্যবধানে।
অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। ফ্রান্সের খেলোয়াড় উপামেকানোর হাতে বল লাগলে ভিএআর চেক করে পেনাল্টি দেন রেফারি। প্রথমে পেনাল্টি মিস করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। কিন্তু লরিস লাইনের বাইরে থাকায় আবারো শট নিতে দেয়া হয় লেভানডফস্কিকে। এবার অবশ্য তিনি ঠিকই গোলের দেখা পান। আর কোনো গোল না হলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের দল।
এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ফ্রান্স আর পোল্যান্ডের কাতার বিশ্বকাপ মিশন এখানেই শেষ। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড ও সেনেগালের মধ্যে বিজয়ী দল। এদিকে বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলেই ৫ গোল আর ২ এসিস্ট করে কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতার দৌঁড়ে বেশ এগিয়ে গেছেন এমবাপ্পে।