দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ৩ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডার্কওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দাপুটে এ জয়ে আসরটির সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে টিকে রইল বাবর আজমের দল।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ টু-এর ম্যাচে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।
যেখানে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের তোপের মুখে পড়লেও ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায়। জবাবে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের ইনিংসে ৯ ওভার শেষে বৃষ্টি হানা দেয়। সে সময় দলটির স্কোর ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। বৃষ্টি বন্ধের পর খেলা শুরু হলে টেম্বা বাভুমাদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১৪২। তবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানে থামে প্রোটিয়ারা।
১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শাহীন শাহ আফ্রিদির তাণ্ডব দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারে আফ্রিদির শিকারে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন কুইন্টন ডি কক। পাকিস্তানি এই বাঁহাতি নিজের পরের ওভারে ফের আঘাত করেন। এবার আরেক ইনফর্ম ব্যাটার রাইলে রুশোকে ব্যক্তিগত ৭ রানে নাসিম শাহর ক্যাচ বানান।
মাঝে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় অষ্টম ও নিজের প্রথম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন স্পিনার শাদাব খান। ডানহাতি এই লেগস্পিনার বাভুমাকে ৩৬ ও মার্করামকে ২০ রানে ফেরান।
নমব ওভার পর বৃষ্টি হানা দেয়। এরপর ফের শুরু হলে নতুন লক্ষ্য হয় ১৪ ওভারে ১৪২। তবে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে আর দাঁড়াতেই পারেননি কোনো প্রোটিয়া ব্যাটার।
পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে ৩ ওভারে ১৪ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান আফ্রিদি। শাদাব নেন ২টি উইকেট।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই ওয়েন পার্নেলের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওয়ান ডাউনে ফখর জামানের ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ হারিস অবশ্য সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। তবে ঝড় তুলে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৮ রান করে আনরিখ নরকিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন।
হারিসসহ ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরমধ্যে ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটার শান মাসুদও। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ৩৯ বলে এ সময় ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ইফতিখার ও মোহাম্মদ নওয়াজ। নওয়াজ অবশ্য পরে ২২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ করে তাবরাইজ শামসির বলে এলবি হন।
ইফতিখার এরপর শাদাব খানের সঙ্গে আরও বড় জুটি গড়েন। তাদের পার্টনারশিপে আসে ৩৬ বলে ৮২ রান। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করে আউট হন। তবে দলের সংগ্রহটা বেশ চ্যালেঞ্জিং করে তোলেন। শাদাব মাত্র ২২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫২ করেন। আর ইফতিখার ৩৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে পাকিস্তান দ্রুত কিছু উইকেট না হারালে সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারতো।
দ.আফ্রিকা বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান পেসার আনরিখ নরকিয়া। ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ম্যাচ সেরা হন শাদাব খান।
৪ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তৃতীয়স্থানে উঠে এলো পাকিস্তান। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। আর ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা।