আফগানিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
একের পর এক উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে পাকিস্তান। শেষ মহূর্তে অসাধারণ ব্যাটিং নৈপূণ্যে খাদের কিনারে থেকে দলকে টেনে তুললেন নাসিম শাহ। অবশেষে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান। আফগানদের পরাজয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বাদ পড়ল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত।
গতকাল বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। পাওয়া প্লে শেষ করতেই শেষ ২ উইকেট। ছিল রানের মন্থর গতি। দলীয় ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে ধারাবাহিকতা ব্যর্থতায় আজও রান পাননি অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তান ক্যাপ্টেন আফগানদের বিপক্ষে রানের খাতা খুলতেই পারেননি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফজল হক ফারুকীর এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় বারের মতো আঘাত। ব্যক্তিগত ৫ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন ফখর জামান। দলীয় ৪৫ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে দলটিতে।
মাঝে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ছিল পাকিস্তান। ইফতিখার আহমেদের ৩০ আর শাদাব খানের ৩৬ রানে জয়ের আশা দেখায় পাকিস্তান। তবে আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
দলীয় ৯৭ রানে রশিদ খানের বলে আজমাতুল্লাহর তালু বন্দি হন শাদাব খান। এরপর ১৩ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ নওয়াজ (৪), খুশদিল শাহ (১) ও হারিস রউফ (০) রানে ফিরলে খাদের কিনারে অবস্থান করে পাকিস্তান। জয় থেকে ১২ রান দূরে থাকতেই ৯ উইকেট হারায় পাকিস্তানবাহিনী।
এমন শঙ্কটাপূর্ণ দলকে টেনে তুলেন নাসিম শাহ। ৪ বলে ১৪ রানের এক দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বোলার। শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে ২ ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন নাসিম শাহ।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৩ ওভার ভালোভাবেই অতিক্রম করে আফগানিস্তান। ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৭ রান। চতুর্থ ওভারে ১০ রান করলেও হারাতে হয় নিজেদের প্রথম উইকেট।
ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন হজরতুল্লাহ জাজাই। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ হাসনাইন বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাজাই। পরের ওভারে ফের আফগান শিবিরে আঘাত হানেন হারিস রউফ। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট-রক্ষক ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফেরান তিনি। ১১ বলে ১৭ করেন গুরবাজ। দলীয় ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় দলটি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ইবরাহিম জাদরান। এছাড়া কারিম জানাত ১৫, নাজিবুল্লাহ জাদরান ১০, মোহাম্মদ নবী ০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১০ ও রশিদ খানের ২ চার, ১ ছক্কায় ১৮ রানে ১২৯ রান তোলে আফগানরা।
পাকিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট নেন হারিস রৌফ। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান। আফগানিস্তানের হয়ে ফজল হক ফারুকী ও ফরিদ আহমেদ নেন ৩টি করে উইকেট। এ দিন রশিদ খানের জুলিতে যায় ২ উইকেট।
পাকিস্তানের একাদশ : বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
আফগানিস্তান একাদশ : হজরতুল্লাহ জাজাই, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেট-রক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, কারিম জানাত, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ আহমেদ, মুজিব উর রহমান ও ফজল হক ফারুকী।