গোল মিসের মহড়ায় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ১১ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫১ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের তুলনায় ৫৪ ধাপ এগিয়ে থাকলেও তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে মাঠে আধিপত্য করেই খেলেছে আনিসুর রহমান জিকোরা। তবে একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারতে হলো লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার (১১ জুন) এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে জামাল ভূঁইয়ারা। লাল সবুজের প্রতিনিধিদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তুর্কমেনিস্তানের হয়ে একটি করে গোল করেন আলতিমিরাত ও আরসলানমিরাত।
এ নিয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল জামালরা। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় তুর্কমেনিস্তান। ম্যাচের ৭ মিনিটে পিছু হটতে থাকা জামাল ভূঁইয়াদের জালে বল জড়িয়ে এগিয়ে যায় তুর্কমেনিস্তানিরা। কর্নার থেকে আসা বল ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান তুর্কমেনিস্তানের আলতিমিরাত। আনিসুর রহমান জিকোও ছিলেন বলের নাগাল থেকে অনেক দূরে।
গোল হজমের পরেই অবশ্য আক্রমণে ফেরে বাংলাদেশ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে তুর্কমেনিস্তানের রক্ষণভাগকে বেসামাল করে দেন রাকিবরা। ফলে ম্যাচের ১২ মিনিটেই মেলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো থ্রু ইন থেকে আসা বল ডি বক্সের ভেতরে হেড দেন রাকিব। তার হেড ভাগ্যক্রমে পৌঁছে যায় ইব্রাহিমের নাগালে। পাল্টা হেডে তিনি বল জড়ান জালে। বিপক্ষ দলের গোলরক্ষক হাত বাড়িয়েও বলের নাগাল পাননি।
এর আগে বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও, যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাবে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে ইয়াসিন আরাফাত। বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো ইনে সাজ্জাদের ব্যাক হেডের পর ইয়াসিন গোলমুখ থেকে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার।
৭১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা বিপলু আহমেদ পাস বাড়িয়েছিলেন বক্সে বাঁ দিক থাকা ফাহিমের উদ্দেশে। বদলি এই ফরোয়ার্ড গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন। এর ছয় মিনিট পরই গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আলতিমিরাতকে আটকাতে পারেননি ডিফেন্ডার ইয়াসিন। এ ফরোয়ার্ডের গোলমুখে বাড়ানো আড়াআড়ি ক্রস ফাঁকায় থাকা আরসলানমিরাত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। ৮৮ মিনিট জামালের ফ্রি কিকে দুরের পোস্টে ফাঁকায় ছিলেন বাংলাদেশের তিন জন ফুটবলার। তাদের মধ্যে টুটুল হোসেন বাদশা শট নেন বারের উপর দিয়ে। সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের হতাশায় মাথা কুটতে দেখা যায় এই ডিফেন্ডারকে। পুরো ম্যাচে আধিপত্য করে খেলেও, যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাবে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ক্যাবরেরার শিষ্যদের।