বাড়িওয়ালার হাতে রক্তাক্ত জুডো নারী খেলোয়াড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ৯ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাড়ি ভাড়া বকেয়া পড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ঢাকার সাভারে জাতীয় জুডো দলের খেলোয়াড় সুমাইয়া আক্তারকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জামগড়া মোল্লা বাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক জিতেছেন। এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া শফিকুল ইসলামের বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার সমুরচুরা গ্রামে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, 'আমি বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের ন্যাশনাল দলের একজন খেলোয়াড়। সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। আমার বাবা, মা ও ভাই জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে আমি এখানে থাকি না। ন্যাশনাল ফেডারেশনেই থাকি আমি। দুই-তিন দিন আগে এসেছি আম্মুর সঙ্গে থাকবো বলে।'
তিনি আরও বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে বাসায় আমি পড়ছিলাম। তখন বাড়ির মালিকের স্ত্রী বাসায় এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য উচ্চবাচ্য করছিলেন। দুই-তিন মাসের বাড়ি ভাড়া পেতেন তারা। আমি বলেছি, যা পান দিয়ে দেবো। তখন আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উনি (বাড়িওয়ালার স্ত্রী) আমাকে থাপ্পর মারেন। আমিও তখন তাকে থাপ্পর দিয়েছি। উনি তখন ওনার স্বামী শফিকুল ও ছেলে হৃদয়কে ডেকে এনে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। আমার আম্মু বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করছে তারা।’
অভিযুক্ত বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই রুমের ফ্ল্যাট নিয়ে সুমাইয়ার পরিবার আমার ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। তাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া পাওনা ছিল। গত মাসে ৬ হাজার টাকা দেয় তারা। আর ৩ মাস আগে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু এই মাস শেষেও বাসা ছাড়েনি। আমি বাসা আরেক ভাড়াটিয়াকে দিয়েছি। তারা অন্য জায়গায় বাসা ছেড়ে দিয়েছে এখানে উঠবে বলে। তাই আমার স্ত্রী রাতে ওদের বাসায় যায়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়ার মেয়ে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমার স্ত্রীকে মেরে কিছু রাখেনি। বিশ্বাস না হলে অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে শুনতে পারেন।’
সুমাইয়া কিভাবে রক্তাক্ত হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ঘরের মইদ্দে খাট আছে, কতকিছু আছে। এখন কিসে লাগছে ক্যামনে কমু কন?'
আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ বলেন, ‘রাতে এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’