আফিফ-মিরাজের ব্যাটে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আফগানিস্তানের দেয়া ২১৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেটে হারালে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। এমতাবস্থায় সপ্তম উইকেটে রেকর্ডগড়া জুটিতে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে দলকে ৪ উইকেটের জয় উপহার দিলেন আফিফ হোসেন এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগার। বাংলাদেশের পক্ষে আফিফ হোসেন ৯৩ রান এবং ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দু দল।
চট্টগ্রামর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর ১৯ রানে ইব্রাহিম জাদরান এবং ৩৪ রানে ফেরেন রহমত শাহ। আর মোহাম্মদউল্লাহর বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ রান তোলেন দলনেতা শহিদী।
একশর মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে আফগানরা। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নবি এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৬৩ রানের জুটিতে চাপ সামলে কিছুটা বাড়ে দলীয় স্কোর। ২০ রানে আউট হন নবি।
এছাড়া ১৭ রানে গুলবাদিন নায়েব, শূন্যরানে রশিদ খান, ৫ রানে আহমেদজাই এবং শূন্যরানে মুজিব উর রহমান সাজঘরে ফেরেন। এদিকে দলকে একাই টানতে থাকা নাজিবুল্লাহ জাদরান ফিফটি পূর্ণ করার পর আউট হন ব্যক্তিগত ৬৭ রানে। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন ফজলে হক ফারুকি। ফলে ২১৫ রানে ইনিংস শেষ হয় সফরকারি দলের।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন তিনজন বোলার।
লো-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে আফগান বোলার ফজলে হক ফারুকীর বোলিং তোপে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর ফেরেন দলের আরও দুই ব্যাটার। সে সময় দলীয় স্কোর ছিল মাত্র ৪৫ রান। আর বাংলাদেশ হারিয়েছিল ছয় উইকেট।
লিটন দাস ১ রানে, তামিম ইকবাল ৮ রানে, মুশফিকুর রহিম ৩ রানে এবং শূন্যরানে ইয়াসির রাব্বি, ১০ রানে সাকিব এবং ৮ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এ সময় মনে হচ্ছিলো লজ্জার ইনিংসের রেকর্ড গড়তেই যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম উইকেট জুটিতে আফগান বোলারদের বুড়ো আঙুল দেখাতে থাকেন আফিফ হোসেন এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দেখে-শুনে খেলতে খেলতে এক সময় দলকে জয়ের স্বপ্নই দেখান তারা। আর শেষ পর্যন্ত স্বপ্নকেও পরিণত করেন সত্যিতে।
সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে ১৭০ রানে অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়েন। যা বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড। এর আগে ১২৭ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস এবং সাইফউদ্দিন। এছাড়া ক্রিকেটবিশ্বে সপ্তম উইকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২০১৫ সালে জস বাটলার এবং আদিল রশিদ মিলে তুলেছিলেন ১৭৭ রান।
আফিফ এবং মিরাজ দুজনই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। আফিফ হোসেন ৯৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১৫ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১১টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।