টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমিরাত-আয়ারল্যান্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ধ্বংসাত্মক ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জাতীয় দল পর্যদুস্ত হওয়ার তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন রূপে ঘুরে দাঁড়াল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কোয়ালিফায়ার ‘এ’র প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে ৬৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাম লিখল তারা।
২০১৪ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তনে আমিরাতের নায়ক তাদের অধিনায়ক আহমেদ রাজা। ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে খাদের কিনারায় ছিল দলটির অস্তিত্ব। দলটির দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাভীদ ও শাইমান আনোয়ার নিষিদ্ধ হন আট বছরের জন্য। সেখান থেকে আমিরাতকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন রাজা এবং সেমিফাইনালে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়ে।
ওমানের মাসকাটে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে আমিরাত। ইনিংস সেরা ৭০ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন রাজা।
টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের খেলার আশা ভেঙে দিলো আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ৫৬ রানে জিতে টানা সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল আইরিশরা।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৭ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে ১৬৫ রানে থামালেও ওমান গুটিয়ে যায় ১০৯ রানে। আইরিশদের পক্ষে ডিলানি ৪৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। আর বল হাতে সিমি সিং ৩ উইকেট নেন। দ্বিতীয় সেরা ৩৬ রান করার পর ম্যাকব্রিন ২৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।
একদিনের বিরতি দিয়ে আল আমিরাতে আয়ারল্যান্ড ও আরব আমিরাত ফাইনাল খেলবে। সেখান থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সিডিং চূড়ান্ত হবে, চ্যাম্পিয়ন দলটি প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ ওয়ানে যুক্ত হবে শ্রীলঙ্কা, নামিবিয়া এবং জুনে জিম্বাবুয়েতে হতে যাওয়া কোয়ালিফায়ার ‘বি’র রানার্সআপ দলের সঙ্গে। আর রানার্সআপ যোগ দিবে গ্রুপ টুয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও কোয়ালিফায়ার ‘বি’র চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে।
প্রথম রাউন্ডের দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল অংশ নিবে সুপার টুয়েলভে, যেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড।