ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
শুধু ভাগ্যের আশীর্বাদ বললে ভুল হবে, যোগ্যতাও লাগে। টমাস টুখেলের কথাই ধরুন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চেলসির কোচ হয়ে এলেন। এর পর থেকে চেলসি সব টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে উঠেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপ ও সুপার কাপের পর কাল রাতে এ তালিকায় সবশেষ সংযোজন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। চেলসি কোচ হিসেবে মাত্র ৩৭৯ দিনের ব্যবধানে এতগুলো ফাইনালের দেখা পেলেন টুখেল।
আবুধাবিতে সৌদি আরবের অন্যতম সেরা ক্লাব আল হিলালকে সেমিফাইনালে ১–০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের দেখা পেয়েছে চেলসি।
টুখেলের সঙ্গে রোমেলু লুকাকুর বনিবনা না হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল কিছুদিন আগেই, সেই লুকাকুই কাল জয়সূচক গোলটি এনে দিয়েছেন চেলসিকে। ৩২ মিনিটে বেলজিয়ান স্ট্রাইকার গোলটি করেন।
রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ চেলসির মালিকানা কিনে নেওয়ার পর এই ১৯ বছরে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাটিই অধরা চেলসির। ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারীরা।
জাপানে আয়োজিত ২০১২ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানসের কাছে হেরেছিল চেলসি। এবার ফাইনালে ওঠাটা মোটেও সহজ ছিল না টুখেলের শিষ্যদের। পাঁচ ম্যাচ গোলখরায় ভোগা লুকাকু লক্ষ্যভেদ না করলে আল হিলালের বিপক্ষে ম্যাচটিও জটিল হয়ে যেতে পারত চেলসির জন্য।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকায় কোচ টুখেলকে এ ম্যাচে চেলসির ডাগআউটে দেখা যায়নি। বক্সে আল হিলালের ডিফেন্ডারদের ভুলের সদ্ব্যবহার করে গোলটি করেন লুকাকু। ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল।
চেলসি অধিনায়ক সিজার আজপিলিকুয়েতা এবার শিরোপা জিততে মরিয়া। ২০১২ ফাইনালের স্মৃতিই তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘২০১২ সালের স্মৃতি এখনো কষ্ট দেয়। শুধু এই প্রতিযোগিতাটাই আমি এখনো জিততে পারিনি। হার মেনে নেওয়া কষ্টের। সেদিন আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি।’
পরিসংখ্যান বলছে, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলগুলো নিজেদের সবশেষ ২৯ ম্যাচের মধ্যে ২৮ ম্যাচই জিতেছে। এর মধ্যে একমাত্র হারটি চেলসির—২০১২ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল। এবার নিশ্চয়ই তার পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না ইংলিশ ক্লাবটি।