স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ১৭ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪১ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়। সবমিলিয়ে স্প্যানিশ সুপারকাপ ফাইনালে ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়েই নেমেছিল অ্যাটলেটিক বিলবাও। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে টক্করও দিয়েছে ক্লাবটি। তবে লস ব্লাঙ্কোদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি বিলবাও।
গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ফাইনাল ম্যাচটিতে ২-০ গোলের জয়ে স্প্যানিশ সুপারকাপ জিতে নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই নিয়ে ১২তম বার স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনাকে ছুঁতে লস ব্লাঙ্কোদের প্রয়োজন মাত্র ১টি শিরোপা। রেকর্ড ১৩বার জিতেছে বার্সেলোনা। কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে লুকা মদরিচের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান বাড়ান করিম বেনজেমা। শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পায় বিলবাও। তবে দারুণ দক্ষতায় পেনাল্টি ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচজুড়ে দুদল সমানতালে লড়াই করেছে। ৪২ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ১৪টি শট নেয় বিলবাও। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ২টি। অপরদিকে ৫৮ শতাংশ বল দখলে রাখা রিয়াল মাদ্রিদ ১৩টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। তবে ভিনিসিউসের বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বেনজেমা। ৮ মিনিটের ব্যবধানে আরো একবার আক্রমণে যায় রিয়াল। এবার দুর্বল শটে বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনের পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হন কাসেমিরো।
৩৮তম মিনিটে লুকা মদরিচের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। রদ্রিগো ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের তিন জনের মধ্যে থেকে ছোট করে কাটব্যাক করেন আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
বিরতির পর ৫২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা। ডি-বক্সের মুখ থেকে ফরাসি স্ট্রাইকারের শট ডিফেন্ডার জেরাই আলভারেসের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজেমা।
৬৪তম মিনিটে ডেভিড আলাবার চ্যালেঞ্জের মুখে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বিলবাওয়ের রাউল গার্সিয়া। ৭৬তম মিনিটে এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের হেড লাগে বাইরের জালে।
৮৬তম মিনিটে গার্সিয়ার হেড গোলমুখে এদের মিলিতাওয়ের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে দেখান লাল কার্ড। তবে গার্সিয়ার পেনাল্টি শট ফিরিয়ে দেন কোর্তোয়া।