জোর করে ব্যাংক মার্জার ঠিক হবে না: ফরাসউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:২২ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
হাজার টাকা ঋণ দিতে না পারলে চাষীকে জেলে যেতে হয়, আর হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপীদের ডেকে পাসে বসিয়ে চা খাওয়ানো হয়, এটি বেশি দিন চলতে পারে না', এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার ইআরএফ মিলনায়তনে কনভারসেশন উইথ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি যখন বড় হয় তখন মানুষের দয়ামায়া কমে যায়। এখন হয়তো সেটাই হচ্ছে। এজন্যই বৈষম্যটা বেড়েছে। তবে ৩০ বছর আগের গরীব আর এখনকার গরীব এক জিনিস নয়, এটার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের বৈষম্যটা কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটা কথা হলো ব্যাংক একীভূতকরণ। এটার দারকার আছে কিনা- সেটা বলতে হবে। আমাদের একটা উৎকণ্ঠা আছে যে, ব্যাংক বন্ধ হলে বোধ হয় আমানতের টাকা আর পাওয়া যাবে না। এইটা ঠিক না। ব্যাংক তো অনেক দেশেই বন্ধ হচ্ছে। এটা চায়নাতেও হচ্ছে। আরেকটা বিষয় হলো ব্যাংকে টাকা আসার দরকার। এজন্য ৩/৬ মাসের মেয়াদের আমানতের ক্ষেত্রে যত প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা দরকার। ব্যাংক মার্জার হতে পারে। এটা নতুন কিছু না। এটা হতেই পারে। সারা পৃথিবীতেই এটা হচ্ছে। তবে জোর করে করাটা ঠিক হবে না। যে দুটি ব্যাংককে একীভূত করবেন তাদের সম্মতি থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খারাপ ব্যাংককে ভালো করতে মার্জার একমাত্র পন্থা নয় এবং নতুন কিছু নয় কিন্তু বড় কথা হলো সবল ও দুর্বল ব্যাংকের সম্মতি ছাড়া জোর করে মার্জার করা ঠিক হবে না। এর আরও অনেক বিকল্প আছে, সেগুলো ভেবে দেখা দরকার।
বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের যে কয়টি দেশ জিডিপির ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি। করোনার সময় ১৬ দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে, কোনো দেশের পকেটে ঢুকে যায়নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইআরএফে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।