ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৭ পিএম, ১৪ জুলাই,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:৫৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে সহজ হয়, উদ্যোক্তারা যাতে উৎসাহ পায়, আমরা সর্বদা সেই কাজই করছি। আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে।
'জাতীয় রপ্তানি ট্রফি' প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রোববার (১৪ জুলাই) আজ এই রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সফল রপ্তানিকারকদের কে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্যের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বিশ্ববাজারে দেশীয় উৎপাদিত মানসম্পন্ন পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
২০২৭ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার এবং রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেবা খাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে আমাদের সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন, পণ্য খাতের মতো সেবা খাতেও আমরা সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমাদের বেসরকারি খাত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন ত্বরান্বিত করেছে, তেমনি তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হব। এলডিসি থেকে উত্তরণকে সামনে রেখে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি খাতের বিকাশে বিভিন্ন প্রকার সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন রপ্তানি বাণিজ্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনে। এর সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেসব প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তাদের স্বীকৃতি প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় হতে ‘রপ্তানি ট্রফি প্রদান’ ধরনের স্বীকৃতি দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে রপ্তানির চলমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।