রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল, দাবি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। দেশবাসী স্বস্তি ও উৎসাহ নিয়ে ঈদ ও নববর্ষ পালন করেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে। ঈদের ছুটিতে ৫ দিন গ্রামে ছিলাম, মাঠে ঘাটে চলেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেরেছি। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করেছেন। এছাড়া এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকাশহরে নয় গ্রামেও যেভাবে নববর্ষ উদ্যাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেয়া সেটা রমজানের পরেও কি অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রমজান না সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রফতানি বাজিণ্যসহ লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল, এসময় সব কিছুর চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
তিনি আরও বলেন, এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা। রমজানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। পাশপাশি তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। এতে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী নয়, নিম্নমুখী ছিল।
চালের বস্তায় দাম লেখার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে সমন্বয় করা হবে। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যে সব জিনিস আনা হয়। আর স্থানীয় কৃষি পণ্য ও খাদ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
পহেলা বৈশাখ থেকে চালের দাম লেখার বিষয়টি কার্যকর করবেন বলে জানিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কি হয়েছে তাদের সঙ্গে কোঅরডিনেশন মিটিং করে বলতে পারব।
গ্রামে বেগুন ৫ টাকা সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয়, এ বিষয়ে কি কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে টিটু বলেন, এটি কৃষি বিপণন অধিদফতর ভালো বলতে পারবে। বাজার ব্যবস্থাপনার আমদানি ও পাইকারি বাজার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন। দাম নিয়ন্ত্রণে রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি, সারাবছর একইভাবে কাজ করব। তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই নজরদারি থাকবে।