সহকর্মীদের কাঁদিয়ে হারিয়ে গেল নিমিষেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:৩২ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে এ হৃদয়ে, সে কিছু নয় শত আঘাতেও, নিঃস্ব যে আজ তার আবার, হারানোর ভয়’- গানের কথাগুলোর মতোই হারিয়ে গেলেন কণ্ঠশিল্পী খালিদ। না ফেরার দেশে চলে গেলেন চাইম ব্যান্ডের এই সদস্য। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পাড়ছে না সহকর্মীরা। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খালিদের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি ও তার গানের লাইন শেয়ার করে জানাচ্ছেন বিদায়। চাইছেন আত্মার শান্তি।
নগর বাউল জেমস খালিদের কালজয়ী গান ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’ এই গানের দুই লাইন শেয়ার করে লেখেন, ‘সে যে হৃদয় পথের রোদে, একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই।’ সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী খালিদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। কান্না ভেজা কণ্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আর খালিদ একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ওর এমন অকাল মৃত্যু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পাড়ছি না। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর খালিদের মৃত্যুর সংবাদ কিছুতেই মানতে পাড়ছেন না। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একযুগ আগের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই।’
গানের দুটি লাইন শেয়ার করে তিনি আরও লেখেন, ‘নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন চাইম ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর ও যৌবনের প্রিয় গায়ক খালেদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একটা কণ্ঠ! জাতি হারালো নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে !
আমি আমরা শোকাহত। খালিদ ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। মহান আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক বইবার শক্তি দিন। আমিন। ছবিটি আমার বিয়ের একযুগপূর্তিতে তোলা ১০/০৭/২০০৪, সেদিন মিতালী মুখার্জি দিদিও ছিলেন।’
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ খালিদের দুটি লাইন, ‘কোনো বাঁধনেই বাঁধা তো গেল না কিছুতেই ...’ লিখে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এ ছাড়া শূন্য ব্যান্ড, আর্টসেল, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন, অর্থহীনসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো তার আত্মার শান্তি কামনা করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাসায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নেওয়া হয় কাছের কমফোর্ট হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তার জন্ম জগোপালগঞ্জে। সেখানেই তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। তার স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাওয়ার বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।