সময়-ব্যয়বৃদ্ধির বৃত্তে বন্দি
তিন বছর মেয়াদের এক রেলপথেই কেটে গেলো ১৫ বছর!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:০৮ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বার বার সতর্ক করার পরও মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ে অনেক প্রকল্পের। সড়কপথ, রেলপথ, শিক্ষাখাতসহ বিভিন্ন খাতে এমন চিত্র যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অনেক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। দ্রুত কাজ শেষ না করলে কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ার এই বৃত্তে বন্দি ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ। ২০১১ সালের শেষ দিকে স্বতন্ত্র রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠনের পর এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১২ সালে ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের কাজ। পরে ব্যয় বাড়িয়ে এক হাজার ১০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এই খরচের মধ্যে প্রকল্প ঋণ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই মেয়াদেও কাজ সমাপ্ত হবে না। প্রকল্পের আওতায় ৫৫ কিলোমিটার নতুন এমব্যাংকমেন্ট নির্মাণ করা হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ২৪ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার অর্থাৎ অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক কাজ শেষ করতে ২০২৭ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ফলে যে রেলপথ তিন বছরে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা সেই প্রকল্পে সময় বেড়েছে ১৫ বছর।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথ যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। এই পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। তবে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি মাত্র লাইন থাকায় যাত্রী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নতুন ট্রেন চালু করা এবং ঢাকায় প্রবেশকারী পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য সরকার ২০১২ সালে ঢাকা-জয়দেবপুর রেললাইন চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প গ্রহণ করলেও টেন্ডার জটিলতার কারণে এখনো প্রকল্পটি অধরা। ফলে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য কমিউটার ট্রেন চালু, ঢাকায় প্রবেশকারী পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা ও যানজট কমাতে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় এবং চতুর্থ রেললাইন ও টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইন স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে খরচ মোট ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে দুটি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, ১৮টি প্ল্যাটফর্ম, ১১টি প্ল্যাটফর্ম শেড ও সাতটি ফুটওভার ব্রিজ। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৬৮ শতাংশ। মোট ৫৫ কিলোমিটার এমব্যাংকমেন্টের মধ্যে ৪৪ কিলোমিটার নির্মিত হয়েছে। আর ৯৬ কিলোমিটারের ট্র্যাকের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে তেজগাঁও ও বনানী স্টেশনের কাজই শুরু হয়নি। টেলিকমিউনিকেশনসহ সাত স্টেশনের কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনই হয়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে পুনরায় ওয়ার্ক প্ল্যান করা হবে। রেলওয়ের এ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা আছে। তবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হলেও সাইট রেলওয়ের কাছে হ্যান্ডওভার করার পর তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন নির্মাণ করে তাতে ট্রেন ডাইভার্ট করে বিদ্যমান দুটি লাইনের রেল, সিøপার ও ফিটিংস পরিবর্তনের কাজ করা হবে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের সাইট বুঝে পাওয়া সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ভৌত কাজ শেষ হবে। এ কারণে ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ডসহ (ডিএলপি) প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং সে মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়কাল বাড়ানো প্রয়োজন। প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধন করতে হবে এবং প্রকল্পের তৃতীয় আরডিপিপি (সংশোধিত উন্নয়ন প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিকল্পনা সেলে পাঠানো হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে বার বার বেড়েছে ব্যয় : মূল প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৫২ কোটি ৭০ লাখ এবং প্রকল্প ঋণ ৬৯৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর পরে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ডিসেম্বর ২০২২ নাগাদ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
নানা কারণে বাড়ছে মেয়াদ-পুনরায় রেলসেতু নির্মাণ : মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে টঙ্গী ও তুরাগ নদীর ওপরে অবস্থিত ৪২ নং সেতুর ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ২ মিটার বৃদ্ধি এবং একটি স্প্যানের হরিজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ২০ মিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ মিটার করা হয়েছে। এ কারণে পুনরায় ৪২ নম্বর সেতুর বিশদ ডিজাইন করতে হয়েছে এবং কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ২ মিটার বৃদ্ধির কারণে পুরোনো দুটি সেতু ও সেতুর অ্যাপ্রোচ রেললাইন ভেঙে ফেলতে হবে। এজন্য নতুন সেতুতে দুটি লাইনের পরিবর্তে চারটি লাইনের স্থান রাখা হয়েছে। গার্ডারের ডিজাইন পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং গার্ডার বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গার্ডারের দৈর্ঘ্য ও ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় নতুন ধরনের বিয়ারিং লাগাতে হয়, যে কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটির পরিবর্তে চারটি লাইন নির্মাণের জন্য এবং সেতুর উচ্চতা আগের চেয়ে উঁচু হওয়ায় মাটির কাজ ও ট্র্যাকের কাজের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্টেশন ইয়ার্ডের কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি : ডিটেইল্ড ডিজাইন অনুসারে প্রায় সব স্টেশনের ইয়ার্ডে লুপলাইনের দৈর্ঘ্য কম-বেশি হয়েছিল। কিন্তু পরে স্টেশন ইয়ার্ডসমূহের চূড়ান্ত লে-আউট প্ল্যান ওপেন লাইনের অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হলে লুপলাইনসমূহের কাজ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। ওপেন লাইনের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন স্টেশনের লুপলাইনসমূহের কাজ বাড়ানো হবে। ৮টি স্টেশন মিলিয়ে মোট ৭ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
চার স্টেশন পুনর্নির্মাণ : প্রকল্পের আওতায় তেজগাঁও, বনানী, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশনসমূহে যাওয়ার জন্য র্যাম্প, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ওয়েটিং হল, পৃথক টয়লেট, বেবি ফিডিং এরিয়া ইত্যাদি আধুনিক সুবিধা রাখা হয়েছে। স্টেশন ভবনে মডার্ন লুক ও ল্যান্ডস্কেপিং করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত কার পার্কিংয়ের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিয়ার ৩০ মিটার পর পর থাকায় গার্ডারের নিচে অবস্থিত তেজগাঁও এবং বনানী স্টেশন ভবন ব্লক ব্লক আকারে করিডোর দিয়ে সংযুক্ত করে নির্মাণ করতে হচ্ছে বিধায় স্টেশন ভবনের এরিয়া বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ওপেন লাইনের চাহিদা অনুসারে প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্কুলার অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পের সাইটে অবস্থিত বিভিন্ন সংস্থার ইলেকট্রিক্যাল লাইন, গ্যাস ও পানির লাইন, অপটিক্যাল ফাইবার, ড্রেন, সুয়ারেজ পাইপ, বাউন্ডারি ওয়াল, কালভার্ট, বিভিন্ন অবকাঠামো/ফ্যাসিলিটি ইত্যাদি ডিপোজিট হিসেবে স্থানান্তর করতে হওয়ায় এ খাতের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রডগেজ হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন কেনা : প্রকল্পের আওতায় ব্রডগেজ হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় সরকারি অর্থায়নে ব্রডগেজ হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন কেনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্পেশিফিকেশন পরিপালন করে এমন হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন ভারতে তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে মাত্র একটি কর্মক্ষম ব্রডগেজ হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন রয়েছে, যা দিয়ে ক্রমবর্ধমান ব্রডগেজ ও ডুয়েলগেজ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে ব্রডগেজ হেভি ডিউটি ট্যাম্পিং মেশিন কেনার লক্ষ্যে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ছে। প্রকল্প সংশোধনের জন্য আরও ৬ দশমিক ৬ কোটি মার্কিন ডলার ভারতীয় ঋণ লাগবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মালামাল সাপ্লাইয়ে বিলম্ব, ভূমি হস্তান্তর, ইউটিলিটি শিফটিং ও কোভিড-১৯ মহামারিসহ বেশকিছু সমস্যার কারণে অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রধান বাধা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
রেলপথ নির্মাণে বাধা উড়ালসড়ক : কমলাপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড প্রকল্পের কাজ হচ্ছে রেললাইনের ওপরে। নতুন রেলপথের কাজের এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ক্রেন ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি চলাচল করে। এ কারণে প্রায় ৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্সপ্রেসওয়ের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট থাকায় বনানী স্টেশন ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা যাচ্ছে না।
রেলপথ নির্মাণে এখনো মেলেনি বেবিচকের জমি : বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত মামলার কারণে এ এলাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। প্রকল্পের কাজের জন্য বেবিচকের রেকর্ডভুক্ত ১৩ দশমিক ৪৪ একর জমি প্রয়োজন। এই জমি এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে বিভিন্ন সংস্থার ইউটিলিটি শিফটিংয়ের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা হচ্ছে। বনানী-কমলাপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ ধরতে পারছি না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলমান থাকার কারণে কাজ করতে পারিনি। ২০২৪ সালের জুন মাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে। এই কাজ শেষ না হলে আমরা রেলপথ নির্মাণকাজ ধরতে পারি না। বিমানবন্দর এলাকায় বেবিচকের জমি এখনো বুঝে পাইনি। প্রকল্পের ৬৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘কাজ পুরোপুরি শেষ করতে মেয়াদ বাড়াতে হবে। মেয়াদ বাড়ালে ব্যয়ও কিছুটা বাড়াতে হবে।’