রফতানি উন্নয়ন তহবিলের সুদহার বেড়ে সাড়ে ৪ শতাংশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:২৫ এএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুদহার দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে রফতানিকারকদের গুনতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ। এতদিন এ সুদের হার ছিল ৪ শতাংশ।
আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৩ শতাংশ সুদে অর্থ দেবে। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে হবে রফতানিকারকদের। এতদিন ইডিএফ থেকে ব্যাংকগুলো ২ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে রফতানিকারকদের কাছে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করত। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রথমবারের মতো ইডিএফ ঋণের সুদের হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে সুদের হার ছয় মাসের লন্ডন ইন্টার-ব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) সঙ্গে দেড় শতাংশ যুক্ত করে নির্ধারণ করা হতো। সে ক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই ওঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেত।
করোনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইডিএফ থেকে ঋণ নিলে লাইবর রেটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। সুদের হার হবে সরাসরি ২ শতাংশ। রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে রফতানি উন্নয়ন তহবিল গঠিত হয় এবং ১৯৮৯ সালে তহবিলটির যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ সালে তহবিলটি ১০ কোটিতে উন্নীত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে আকার বাড়িয়ে এখন ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। এই তহবিল থেকে রফতানিকারকরা ঋণ নিয়ে ২৭০ দিনের মধ্যে ফেরত দেন। ইডিএফ তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ সুবিধা নিয়েছেন বিজিএমইএ সদস্যরা। সম্প্রতি রফতানি খাতের উন্নয়নে দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ঋণ দিয়ে দেশের রফতানিকারকদের সহায়তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ এই তহবিলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত। এই তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে ৪৯ ব্যাংক।