ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার শতকরার ৮০ ভাগ ব্যয় সরকারি আমদানিতে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৩০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশই ব্যয় করেছে সরকারি আমদানিতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭৮০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ৭২০ কোটি ডলার খাদ্য, সার ও জ্বালানি সামগ্রী আমদানির জন্য দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে।
গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ হাজার ৬৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। এর মধ্যে সরকারিভাবে পণ্য আমদানি হয় ৮৪১ কোটি ডলারের, যা উল্লেখিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে হওয়া মোট আমদানির ৮০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলে ২৮৫ কোটি ডলারের, যা উল্লেখিত সময়ে ব্যাংকটির মোট আমদানি ব্যয়ের ৯৪ শতাংশ। ওই সময়ে বেসরকারিভাবে মাত্র ১৬১ মিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।
এইকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মোট আমদানির মধ্যে সরকারি আমদানির হার ছিল ৬৮ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের মোট আমদানির মধ্যে সরকারি আমদানির হার ছিল ৭৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংকের মোট আমদানির মধ্যে সরকারি আমদানির হার ছিল ৮০ শতাংশ। ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে আসায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আমদানিকারক যদি সরকার হয় এবং বিদেশ থেকে আনা সামগ্রীগুলো যদি সত্যিই প্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হয়, কেবল সেক্ষেত্রেই ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাধারণত সরকারিভাবে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে থাকে চাল, গম, সার ও জ্বালানি তেল। তবে খাদ্য আমদানির যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখা গেছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি খাতেই সবেচেয়ে বেশি খাদ্য আমদানি হয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও একই চিত্র দেখা গেছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়ায় রমজানের আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানি নিয়ে ব্যবসায়ী ও বেসরকারি আমদানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তারা বলছেন, রমজানের সময় সাধারণত খেজুর, ছোলা, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়, যার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। আর রমজানে এসব খাদ্যপণ্যের সরবরাহ বিঘিœত হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।