টানা ১২ মাস ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কমছে পোশাক রফতানি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:৪৯ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
টানা ১২ মাস বা চার প্রান্তিক যাবৎ প্রধান দুই বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি কমে যাচ্ছে। পোশাকের সর্ববৃহৎ দুই বাজারে পোশাক রফতানি কমে যাওয়ায় সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে রফতানি আয়ের ওপর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এ প্রধান দুই বাজারে পোশাক রফতানি ছিল মোট পোশাকের প্রায় ৮৫ শতাংশ, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তা কমে নেমেছে ৮০ শতাংশের ঘরে। এর ফলে গত মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সামগ্রিক পোশাক রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ বা ১২৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতির সার্বিক সূচক নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টারলি’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশে মোট পোশাক রফতানি হয়েছিল এক হাজার ৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি হয় ৬৮৯ কোটি ডলার, যা মোট পোশাক রফতানির ৬৩.৫৬ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি হয় ২৩১ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা মোট পোশাক রফতানির ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বড় দুই বাজার মিলে মোট পোশাক রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের মার্চ প্রান্তিকের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে এ দুই বাজারে কমে যাচ্ছে পোশাক রফতানি। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক রফতানিতে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রধান দুই বাজারে পোশাক রফতানি যেখানে ছিল ৮৫ শতাংশ, সেখানে মার্চ প্রান্তিকে এসে কমে হয় ৮৩ শতাংশ।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ওই প্রান্তিকে ইউরোপের বাজারে রফতানি হয়েছিল ৬৩.৩২ শতাংশ, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি হয়েছিল ২০.৪৬ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ অর্থাৎ জুন প্রান্তিকে ইউরোপের বাজার পোশাক রফতানি আরো কমে হয় ৬২.৩৬ শতাংশ, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সামান্য বেড়ে হয় ২১.৬৬ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে মার্চ প্রান্তিকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি ছিল ৭৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার, জুন প্রান্তিকে এসে তা আরো কমে হয় ৬৯৭ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম অর্থাৎ সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি আরো কমে হয় ৬২৭ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা মোট পোশাকের ৬১.১১ শতাংশ।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জুন প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ২১.৬৬ শতাংশ থেকে কমে হয় ১৯.৫৬ শতাংশ। জুন প্রান্তিকে যেখানে ছিল ২৪২ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কমে হয় ২০১ কোটি মার্কিন ডলার। আর এর ফলে সামগ্রিক পোশাক রফতানি কমে হয় এক হাজার ২৭ কোটি ডলার, যেখানে আগের প্রান্তিকে অর্থাৎ জুন প্রান্তিকে ছিল এক হাজার ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার।