প্রতি মাসে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়ার প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ৩ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশে চলমান তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র ও পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রতি মাসে দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বহুল প্রচলিত পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তিন মাস অন্তর যেসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো প্রতি মাসে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া কেনার সিলিং এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার (পুরুষ ক্রেতা) বয়স কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এবং সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তারা অনুমোদন দিলে তা শিগগিরই কার্যকর হবে।
জানা গেছে, পরিবার সঞ্চয়পত্রে পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৫০ বছরে নামিয়ে আনারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বেশিসংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্রের আওতায় আসতে পারবে। অপরদিকে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে যাতে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে, এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে যদি কোনো পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, সেক্ষেত্রে তার বয়স ৬৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি হতে হবে। কিন্তু একজন সরকারি চাকরিজীবী ৫৯ বছরে অবসরে যান। কিন্তু বয়সসীমা বেশি থাকায় পেনশনের টাকা দিয়ে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। একই সমস্যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেও হচ্ছে।
এছাড়া বর্তমান সরকারের গড় আয়ু হিসাবে ৬৫ বছরে আগে অনেকে মারা যান। আর বেঁচে থাকা মানুষগুলোর ওই বয়সে পৌঁছানোর পর টাকার খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। সবদিক বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার বয়সসীমা ৬৫ থেকে কমিয়ে ৫০ বছরে নামিয়ে আনার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর।