ভেতরে ভেতরে সংকটে ভুগছে কয়েকটি ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একদিকে ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমেছে, অন্যদিকে আমানতকারীদের মুনাফায় টান পড়ছে। এমনকি ব্যাংকগুলোর আয়ও কমে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রভিশনেও (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কয়েকটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতেও পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এ সময়ে ১১টি ব্যাংক সামগ্রিকভাবে ৩২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। একই সময়ে ৮টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন ঘাটতি— এই তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র বা প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়। যেসব ব্যাংকের প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি এবং খেলাপি ঋণ বেশি, সেসব ব্যাংক তুলনামূলকভাবে সংকটের মধ্যে আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে ৬টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ছাড়াও মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে।
ব্যাংকগুলো হচ্ছে- অগ্রণী, জনতা, বেসিক, রূপালী, ন্যাশনাল ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এই ৬টি ব্যাংকে তিন ধরনের সমস্যাই লক্ষ করা গেছে।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যে ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে, ধরে নিতে হবে সেই ব্যাংকের গ্রাহকের আমানত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আর যে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়বে, ধরে নিতে হবে সেই ব্যাংকই ঝুঁকিতে রয়েছে।’ তিনি মনে করেন, যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণে সফল, সেসব ব্যাংকের গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত রয়েছে। আর যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ, সে ব্যাংকের গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত নয়।
সংকটের শীর্ষে যারা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে সরকারি খাতে পরিচালিত জনতা ব্যাংকের। ব্যাংকটিতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। তবে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি রয়েছে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের। ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ৯৭ দশমিক ৯০ শতাংশই খেলাপি। আর সবচেয়ে বেশি ১৩ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। এ ছাড়া প্রভিশন ঘাটতিতে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে বেসরকারি খাতে পরিচালিত ন্যাশনাল ব্যাংক। এই ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এই ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণও বেড়েছে অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে বেশি। গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষে নাম লেখিয়েছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরের অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের নাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ খেলাপি ঋণের হার বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (সাবেক ওরিয়েন্টাল)। এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ৮৩ শতাংশের বেশি খেলাপি। ২০০৬ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকে সীমাহীন ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল। এই ব্যাংকের আমানতকারীদের অনেকেই এখনও আমানতের টাকা ফেরত পাননি।
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে দেশের ৮ ব্যাংক।
প্রভিশন ঘাটতিতে যেসব ব্যাংক:
প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে অগ্রণী, বেসিক, জনতা, রূপালী ছাড়াও বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট, ন্যাশনাল ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি চার হাজার ৫৬২ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের তিন হাজার ৫২১ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের তিন হাজার ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ৫৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের ৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৩৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও যোগসাজশের মাধ্যমে বের করা ঋণ যথাসময়ে ফেরত আসছে না। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর এসব ঋণের বড় অংশই খেলাপি হয়ে পড়ছে। এর বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাড়তি অর্থ জোগাতে হাত দিতে হচ্ছে মূলধনে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে মূলধন ঘাটতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর হতে না পারলে প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি আরও বাড়বে। সমস্যা আরও বাড়বে। এ জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করলেই খেলাপি ঋণ পরিশোধ হবে।’ তিনি মনে করেন, খেলাপি ঋণ কমাতে হলে সবার আগে ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে হবে। গ্রাহকের আর্থিক সচ্ছলতা ও সক্ষমতা দেখে ঋণ দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে শক্ত হতে হবে। কোনও হস্তক্ষেপে ঋণ দিলে তা খেলাপি হবেই।
তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জরুরি ভিত্তিতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন ব্যাংক খাতের দুর্বলতা শনাক্ত করে এগুলো রোধে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। একাধিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী বলছেন, ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে খেলাপি ঋণের বিপরীতে বড় পরিমাণ অর্থ জরুরি তহবিল হিসেবে আলাদা করে রেখেছে, যার প্রভাব পড়েছে মূলধনের ওপর।
মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে যেসব ব্যাংক:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দেখা দিয়েছে ২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ, অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে। কোনও ব্যাংক এ পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া অর্থ ও মুনাফার একটি অংশ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। কোনও ব্যাংক মূলধন ঘাটতি রেখে তার শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারে না। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলো কোনও স্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার আগে ওই ব্যাংকের মূলধন পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করে থাকে। ফলে মূলধন ঘাটতি হলে আস্থার সংকট দেখা দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে মূলধন ভিত্তি আরও কমে আসে। কারণ, এ সময়ের মাঝে মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ০১ শতাংশে নেমে আসে। ২০২১ সালে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের সিএআর অনুপাত ছিল যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। সিএআর হলো— একটি ব্যাংকের মূলধন ও সম্পদের পরিমাণ বিচারে আর্থিক সক্ষমতার পরিমাপ করে থাকে। আমানতকারীদের সুরক্ষা দেওয়া ও আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও উপযোগিতা প্রমাণে সারা বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থায় এটি বহুল ব্যবহৃত একটি সূচক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় দুর্বল। এদিকে দুর্বল ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ সূচক ধরা হয় প্রভিশন সংরক্ষণ করাকে।
নিয়ম অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলো যেসব ঋণ বিতরণ করে, তার গুণমান বিবেচনায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) হিসেবে জমা রাখতে হয়। কোনও ঋণ শেষ পর্যন্ত মন্দ (খেলাপি) ঋণে পরিণত হলে তাতে ব্যাংক যেন আর্থিকভাবে ঝুঁকিতে না পড়ে, সে জন্য নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখার বিধান রয়েছে। ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। এ ছাড়া সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সরকারি ৪ ব্যাংক ও বেসরকারি ৪ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির অঙ্ক ১৯ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ৪টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস সোশাল ইসলামী ব্যাংকের রেটিং এক ধাপ নিচে নামিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রার আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির রেটিং ‘বি২’ থেকে নামিয়ে ‘বি৩’ করা হয়েছে। আর ব্যাংকটির ঋণ দেওয়ার ভিত্তি মূল্যায়ন করে ‘বি৩’ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সিএএ১’ এ। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ৭টি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান বা রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করার ঘোষণা দিয়েছে মুডি’স।
ব্যাংকগুলো হলো— ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড। সার্বিক আর্থিক অবস্থার ওপর রেটিং’স নিতে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ওই রেটিং বা ঋণমান প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে সহায়ক হয়।