রাশিয়ার তেল আমদানিতে আপত্তি করবে না যুক্তরাষ্ট্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ৩১ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সংকট মেটাতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপলোমেটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।’ এর আগে গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্ভব নয়।
কিন্তু জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার এমন অস্থিতিশীল যে আগামী সময়ে দেশে কবে কত টাকা দাম কমবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না।’ রাশিয়া থেকে তেল আসলেই রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটি তিনি মনে করেন না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জ্বালানি সংকট সমাধানে আমরা দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে গত ৫ বছরে ৩৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। গত বছরই আমরা চারটি কূপ খনন করেছি। বাংলাদেশে অনুসন্ধান হয়নি এই যে কথা বলা হয়, এটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্থলভাগে আমরা বাপেক্স ছাড়া আর কাউকে অনুসন্ধান কাজ করতে দিচ্ছি না। যদিও ভোলায় এই বিধিনিষেধের মধ্যেই গ্যাজপ্রমকে কাজ দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে আইওসিকে কাজ দিচ্ছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না।
তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তৌফিক-ই ইলাহী বলেন, ‘আমরা যদি জ্বালানি তেলের দাম না বাড়াই তাহলে বাজেট থেকে ভর্তুকি দিতে হয়। এই টাকা তো বাজেট থেকে দিতে হয়। এটা হলেও মূল্যস্ফীতি বাড়ে। জ্বালানির দাম বাড়িয়ে রাখাই ভাল ছিল। আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের সংকট কেটে যাবে আশা প্রকাশ করেন জ্বালানি উপদেষ্টা। সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন ছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।