খোলা সয়াবিন পামঅয়েল ও ডিমে বাড়ল ২৫ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ১২ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন, পামঅয়েল ও ডিমের দাম। সপ্তাহ ঘুরতেই খোলা সয়াবিন তেল ও পামঅয়েল কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং ডিমের ডজন ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথেই চড়া সবজির বাজার। প্রায় সব সবজির দামই কমবেশি বেড়েছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রংধনু মার্কেটে গিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। বোতলজাত সরিষার তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।
বৌ বাজারে গিয়ে জানা যায়, মুদি দোকানিরা গত সপ্তাহে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন। আর গতকাল বিক্রি করছেন ১৯০ টাকায়। এছাড়া খোলা সরিষার দাম আগের মতোই ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে পামঅয়েলের দামও। গত সপ্তাহে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ১ কেজি পামঅয়েল। বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। বোতলজাত তেলের সরবরাহ ও দাম নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
যাত্রাবাড়ী রংধনু মার্কেটের বিসমিল্লাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী নুরুল হুদা বলেন, আমরা বোতলজাত তেল অর্ডার দিয়েও পাচ্ছি না। কোম্পানি থেকে বলা হচ্ছে সরবরাহ নেই। তবে আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি।
বৌ বাজারের লাকি এন্টারপ্রাইজের মালিক সেলিম হোসেনও বললেন, বোতলজাত তেল কোম্পানি থেকে কম সরবরাহ হচ্ছে। সেজন্য ৫ লিটারের বোতল ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন তারা।
তবে জাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোবারক সরকার বলেন, বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমেনি। যারা বলছেন, তারা ভুল বলছেন। আর দামও বাড়ানো হয়নি। আগের মতোই ১৮০ টাকায় ১ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা: যাত্রাবাড়ীর বৌ বাজার ঘুরে জানা যায়, ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ডজন ১৪০-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ছিল ১২০ টাকা আর হালি ৪০ টাকা।
জাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোবারক সরকার জানান, একশত ডিম গত সপ্তাহে পাইকারি ছিল হাজারের নিচে। কিন্তু এখন ১১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সেজন্য আজ ডিমের দাম বাড়তি। ডজন বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে আমরা ১২০ টাকায় ডজন বিক্রি করেছি।
পার্শ্ববর্তী লাকি এন্টারপ্রাইজে গিয়ে ডিমের ডজন কত জিজ্ঞেস করতেই ক্যালকুলেটর দিয়ে হিসেব করে জানালেন, ডজন ১৪৫ টাকা আর হালি ৫০ টাকা।
সবজির দাম : যাত্রাবাড়ী সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০-২২০ টাকা। গত সপ্তাহের ১২০ টাকা কেজির চায়না গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর দেশি গাজর ছিল ৮০ টাকা, আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
ঢেড়শের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪-১৫ টাকা। গত সপ্তাহে ঢেড়শের কেজি ছিল ২৫-২৬ টাকা, গতকাল পাইকারি বাজারে ৩৫ টাকায় কেজি এনে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
যাত্রাবাড়ীর খুচরা বাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন জানান, সবজির দাম ওঠানামা করে। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি করেছি ২৪০ টাকায়। আজ বিক্রি করছি ২০০ টাকায়।
তিনি বলেন, আমরা যে খুব বেশি লাভ করি, তা নয়। বাজারে সবজির দাম ওঠানামা করছে। তবে, এটা সত্য যে, আগের তুলনায় দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনতে গেলে তারা জানায়, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। আমাদেরও তাই বেশি দামে কিনতে ও বিক্রি করতে হচ্ছে।