খোলা বাজারে ডলারের তীব্র সংকট, প্রতি ডলার ১১৯ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ১০ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০৫ এএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে এখন ডলার নেই। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে খোলা বাজারে, তবে গ্রাহকদের কাছে প্রতি ডলার ১১৯ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (১০ আগস্ট) খোলা বাজারে ডলার ব্যবসায়ী ও মানি এক্সচেঞ্জের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জেই এখন নগদ ডলার সংকট। বিক্রির চেয়ে কিনছে বেশি। তবে বিক্রি করার লোক নেই। আবার এতোদিন যারা রাস্তায় ডলার কেনাবেচা করতেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ভয়ে তারাও সরাসরি কেনাবেচা করছেন না।
বুধবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলার কিনতে গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা। সোমবার যা ছিল ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা। খোলাবাজারে সাধারণ গ্রাহক বিক্রি করলে প্রতি ডলার পাচ্ছে ১১৫ টাকা থেকে ১১৬ টাকা।
দেশে খোলাবাজারে ডলার প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। পরে গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে। গত মাসের শেষ দিক নগদ ডলার ১১২ টাকায় উঠেছিল।
সবশেষ গত সোমবার (৮ আগস্ট) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক ওইদিন সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। একদিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। মের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। এ হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেছে। এমন প্রমাণ পাওয়ায় গত সোমবার দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
এদিকে ডলারের কারসাজি রোধে খোলাবাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত কারসাজির অপরাধে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ৪২টিকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।