বেড়েছে ডিম-মুরগির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৯ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির। আর ১৫ টাকা দাম কমে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।
এইসব বাজারে বাড়তি দামে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পিয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, আদার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। প্যাকেট চিনি ৯০ টাকা। দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। বাজারে ১৫ টাকা দাম কমে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকার।
এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ থেকে ১৯০ টাকা। খুচরা দোকানে ডিমের হালি ৪২ টাকা। ডজন বিক্রি ১২২ থেকে ১২৩ টাকায়।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।
রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায়, ঈদের আগে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ২০০ টাকার নিচে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবিউল করিম কাঁচা মরিচ প্রতি পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না।
এদিকে বাজারে নতুন শিম আসতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন এ সবজিটি। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। তারা গাজর ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং পাকা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
এ ব্যাপারে রাজধানীর মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার একটু শান্ত মনে হলো। এই সপ্তাহে দুই-একটি ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়েনি।
চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকায় বাজারে সব ধরনের শাকের দাম কমেছে। ব্যবসায়ী বলছেন, আগে সব ধরনের শাকের আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হতো। এখন সেগুলো ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা। এদিকে হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা খোলা আটা ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।
এছাড়া প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ভালো ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৫৮ টাকার নিচে কোনও ময়দা নেই। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা দরে। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৯০০ টাকায় নেমেছে।
এদিকে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এককেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।