বাড়ছে ডলারের দর, কমছে রিজার্ভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১৩ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ডলারের দর আবারও বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বুধবার (১৩ জুলাই) প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে আন্তঃব্যাংক দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা।
এ নিয়ে গত এক বছরে প্রতি ডলারে দাম বাড়লো ৯ টাকা ১৫ পয়সা বা ১০.৭৯ শতাংশ। এ সময় টাকার মোট ৯.২৪ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। এদিকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৭৯ বিলিয়ন ডলার।
জানা গেছে, বুধবার আন্তঃব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা, আগে যা ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। এটি চলতি বছরে টাকার ১৯তম অবমূল্যায়ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঈদের পর আমদানি ব্যয় মেটানোর চাপ বাড়ায় বুধবারও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে বড় অঙ্কের ডলার বিক্রি করেছে। এদিন ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার প্রতি ৯৩.৯৫ টাকা দরে ৯৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা অফিসিয়াল আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার। এতে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯.৭৯ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার আকুতে ১৯৬ কোটি ডলার পরিশোধের পর দীর্ঘদিন পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। এর আগে গত আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে।
এদিকে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ডলারের দর বাড়ছে। একই সঙ্গে কমছে রিজার্ভ। রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ইতিমধ্যে গাড়ি, টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণসহ ২৭ ধরনের পণ্য আমদানিতে শতভাগ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মানে এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসির খোলার সময় আমদানিকারককে শতভাগ নগদে জমা দিতে হবে। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ কিছু পণ্য বাদে অন্যসব ক্ষেত্রে মার্জিনের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ। উভয় ক্ষেত্রে পণ্য আমদানির বিপরীতে কোনো ঋণ দেয়া যাবে না।