বাজেট উত্থাপন ৯ জুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২০ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সব জিনিসের দাম সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বিকেলে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের মার্চ মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে বিশ্বে গমের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। গরুর মাংসের ৩৫ শতাংশ, মুরগির মাংসের ৫৫ শতাংশ, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, চা ১৩ শতাংশ, টিএসপি সার ৬৫ শতাংশ এবং ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে ২৩৪ শতাংশ। আমাদের এগুলো উচ্চ দামে কিনতে হয়। এগুলোকে সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রেখে কাজটি করতে হয়।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমদানি নিয়ন্ত্রণে সবসময় পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণ তো করতেই হবে, এটা তো ওপেন না। আমদানি করার যে ক্রাইটেরিয়া করেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনজ্যুমার প্রোডাক্ট জনসাধারণের জন্য লাগবে সেখানে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। সেখানে আমরা পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় সেক্টর থেকে ইম্পোর্ট করি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আর যদি লাক্সারি আইটেম হয় সেগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অবশ্যই করবো। অনেক সময় আন্তর্জাতিক বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হলে আমরা এলাউ করবো।
ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্প সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রজেক্টটি আমাদের বিবেচনায় ভালো প্রকল্প। সেখানে অনেক জনবল কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। গণমাধ্যমে এসেছে করোনার মধ্যে দেশে ১ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে ই-কমার্সে। একই খাতে চলতি বছরে আরও ৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। আমরা যে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিই সেক্ষেত্রে দুটি জিনিস বিবেচনা করি। মৌলিক দুটি এলাকা বিবেচনা করি, রেভিনিউ জেনারেশন ফর গভর্নমেন্ট এবং কর্মসংস্থান। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
বাজেটের আকার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর আমরা সবকিছু জানিয়ে করেছি। জনগণ যাতে আরও জানতে পারে সেরকম তথ্যাদি বিবেচনায় রেখেই বাজেট সাজিয়েছি। ৯ জুন বাজেট পেশ করা হবে। করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা আছে, আসছে বাজেটে এটা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আইটেম ওয়াইজ আলোচনা আরও করতে হবে। এনবিআর আছে, তাদের সঙ্গে বসতে হবে। নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বাজেট তৈরি করবো। আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমাদের দেশের জনগণের যাতে করে ভোগান্তি না বাড়ে এবং তাদের ওপর বোঝা যেন বেশি না বাড়ে সেজন্য আমরা কাজ করছি। আশা করি, সেগুলো কম-বেশি আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেবো। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে আরও নিয়ন্ত্রণের চিন্তা-ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রকম পণ্য আমদানি আছে। একটা আমদানি হচ্ছে প্রজেক্টের সঙ্গে সরাসরি রিলেটেড, সেটা আমরা এলাউ করি। আবার যদি আমদানি ক্ষেত্রে কনজ্যুমার আইটেম না হয়, রেভিনিউ বেনিফিশিয়ারি না হয় সেসব ক্ষেত্রে বাদ দেয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এক্সপোর্ট অনেক বেড়েছে। তবে এক্সপোর্ট বাড়লেও ইম্পোর্টকে ওভারটেক করতে পারবে না, ইম্পোর্ট বেশি থাকবে। আগে ইম্পোর্ট হয়নি এখন ইম্পোর্ট হচ্ছে। যেগুলোর দাম বেড়েছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কাজটি করতে হয়।