কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ৮ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজধানীর পুরান ঢাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি ফল তরমুজ। আড়ত থেকে পিস হিসেবে কিনে খুচরা বাজারে অধিক লাভের আশায় কেজির দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে বিক্রেতাদের দাবি, ‘ক্রেতাদের চাহিদার কারণেই তারা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করছেন।’ আর ক্রেতারা বলছেন, ‘পিস হিসাবে পাইকারি বাজার থেকে কিনে খুচরা পর্যায়ে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।’
পুরান ঢাকার বাদামতলী, সদরঘাট, বাংলাবাজার, রায়সাহেব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা কেউ কেজি দরে, আবার পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছেন।
সদরঘাট মোড়ের ফল ব্যবসায়ী জহির আহমেদ কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘এবার তরমুজ আসছে কম। দাম একটু বেশি। মাঝারি সাইজের ১০০ তরমুজ কিনতে হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকাতে। পিস হিসেবে বিক্রি করলে পোষাচ্ছে না।’
তবে কেজি হোক বা পিস হোক, খুব বেশি দামে হেরফের হয় না দাবি করে জহির বলেন, ‘মাঝারি সাইজের তরমুজ কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকা দামে বিক্রি করি। বড়গুলো ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে। এ তরমুজগুলো পিস হিসেবে বিক্রি করলেও প্রায়ই একই রকম দাম আসে।’
এ ব্যবসায়ীর ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ছয়-সাত কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। খুচরা বাজারে এগুলো ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে আসে ৩০০-৩২০ টাকা। এতে তরমুজপ্রতি ১০০-১২০ টাকা লাভ হয়। আড়ত থেকে তরমুজ কিনলে অনেক সময় এক-দুদিন পর নষ্ট হয়ে যায় দু-একটা। সেগুলো দাম দিয়ে কিনলেও খুচরা বাজারে বিক্রি করা যায় না।’
বাদামতলী ফলের আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মৌসুমের শুরু থেকেই আমরা পিস হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তরমুজ বিক্রি করছি। তারা এখান থেকে পিস হিসেবে নিয়ে কেজি দরে কেন বিক্রি করছেন, তা বুঝি না।’
ওয়াইজঘাটের পেয়ার নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘ছোট তরমুজ কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সেগুলোর মানও খুব বেশি ভালো না। ছোট একটা তরমুজ কিনতে ১৫০-১৬০ টাকা লাগছে। এটা গরিব মানুষের জন্য কেনা অনেক কষ্টসাধ্য।’