সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে তেল-পেঁয়াজের দাম : চড়া দামেই সবজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৩৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে সয়াবিন তেল, দেশি পেঁয়াজ, হলুদ, আলু ও ময়দার। বিপরীতে কমেছে মোটা চাল, খোলা আটা ও ডিমের দাম। তবে আগের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৬ থেকে ১৫৩ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৪৩ থেকে ১৪৮ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, খোলা পামঅয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা লিটার, গত সপ্তাহে ছিল ১৩২ থেকে ১৩৬ টাকা এবং পামঅয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার, গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা লিটার।
আগের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগম ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
এদিকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি। দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মাছেরও। বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা মাছ সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে, টাকি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, শোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি। নলা মাছ ২০০ ও চিংড়ি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১,২০০ টাকা পর্যন্ত।
কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে আলুর দাম। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি ছিল ১২ থেকে ১৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২০-২৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম কমেছে মোটা চালের, তবে বেড়েছে মাঝারি চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৫০ থেকে ৫৮ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
দাম না বাড়লেও আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল। ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকায়। বড় দানার মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, অ্যাংকর ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।