রেকর্ড পরিমাণ বাড়লো ডলারের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪২ পিএম, ১১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আমদানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলার পাশাপাশি প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিপরীতে বড় পরিসরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে এক ধাক্কায় টাকার মান ২০ পয়সা কমানো হয়েছে। আন্তব্যাংক মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে রবিবার প্রথমবারের মতো ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য ৮৬ টাকায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় মুদ্রার বড় অবমূল্যায়ন এটি। যদিও ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে তিন থেকে চার টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার ৯১ থেকে ৯২ টাকায় কেনাবেচা হয়। মূলত আমদানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মুখে পড়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়। নভেম্বরে ডলারের দাম এসে দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। এরপর দেড় মাস একই অবস্থানে থাকলেও রোববার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকায়, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য।
সাধারণত, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট কর্মদিবসের জন্য প্রতি ডলারে ০.০৫ টাকা থেকে ০.১০ টাকার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি ডলারের বিপরীতে আন্তব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ভারসাম্য আনতে আরও ২ টাকা অবমূল্যায়ন করা যেত। তার মতে, প্রতি ডলার কমপক্ষে ৮৮ টাকা হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি। তিনি মনে করেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো কয়েকটি ধাপে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করবে।